পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রান্তে ৯৯ \, | খানে খতম করতে বলা মনুষ্যত্বকে অপমানিত করা। চরকাকে যদি চরম আশ্রয় বলি তাহলে চরকাই তার প্রতিবাদ করবে —আপন দেহশক্তির সহজ সীমাকে মানুষ মানে না এই কথাটা নিয়ে চরকা পৃথিবীতে এসেছে—সেই চরকার দোহাই দিয়েই কি মানুষের বুদ্ধিকে বেড়ার মধ্যে আটকাতে হবে। /ਥਾਂ দেখলুম একট। বাংলা কাগজ এই ব’লে আক্ষেপ করছে যে, বেহারের ইংরেজ মহাজন কলের লাঙলের সাহায্যে চাষ শুরু করেছে তাতে ক’রে আমাদের চাষীদের সর্বনাশ হবে । লেখকের মত এই-যে আমাদের চাষীদের আধপেট খাওয়াবার জন্যে মানুষের বুদ্ধিশক্তিকে অনন্তকাল নিক্রিয় ক’রে রেখে দিতে হবে। লেখক এ কথা ভুলে গেছেন-যে চাষীরা বস্তুত মরছে নিজের জড়বুদ্ধির ও নিরুদ্যমের আক্রমণে । শান্তিনিকেতনের শিক্ষাব্যাপারে আমি অার-অার অনেক প্রকারের আয়োজন করেছি—কিন্তু যে-শিক্ষার সাহায্যে মানুষ একান্ত দৈহিক শ্রমপরতার অসম্মান থেকে আত্মরক্ষা করতে পারে তার আয়োজন করতে পারলুম না এই দুঃখ অনেক দিন থেকে আমাকে বাজছে। দেহের সীমা থেকে যে-বিজ্ঞান আমাদের মুক্তি দিচ্ছে আজ যুরোপীয় সভ্যতা তাকে বহন ক’রে এনেছে—একে নাম দেওয়া যাক বলরামদেবের সভ্যতা। তুমি জানো বলরামদেবের একটু মদ খাবারও অভ্যাস আছে, এই সভ্যতাতেও শক্তিমত্ততা নেই তা বলতে পারিনে, কিন্তু সেই ভয়ে শক্তিহীনতাকেই শ্রেয় গণ্য করতে হবে এমন মূঢ়তা আমাদের না হোক। শাস্তিনিকেতনকে