পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রাস্তে S ow) হয়েছে ব’লেই এত নিত্যরূপে সে প্রতীত, কাল তাদের আগাগোড়া বদল হয় না বটে কিন্তু অনেকখানি এদিক-ওদিক হয়ে যায়, তখন বোঝা যায় না বিষবৃক্ষকে এত বেশি ভালো লেগেছিল কী করে। একেই বলতে হয় মায়া। এই মায়ার উপরে দাড়িয়ে কত গালমন্দ তর্কবিতর্ক রক্তপাত। অথচ মানুষের মনের প্রকৃতিতে মোটামুটি অনেকখানি নিত্যতার বন্ধন যে নেই তা বলতে পারিনে, না থাকলে মানবসমাজ হোত প্রকাণ্ড একটা পাগলা গারদ । বস্তুজগতের মূলভূতের উপাদানসংস্থানে মোটের উপর একটা বন্ধন আছে সেইজন্তেই কার্বনট কাবান অক্সিজেনটা অক্সিজেন । কিন্তু বহুদীর্ঘকালের ভূমিকায় আদি সূর্য থেকে বতর্মান পৃথিবী পর্যন্ত স্বষ্টিসংঘটনের যে ব্যাপার চলছে, তাতে সেইসব মূলভূতের মধ্যেও টানা-ছে ড় ঘটেছে, সেটা ভেবে দেখতে গেলে দেখি স্বষ্টিটা অনাদিকালের ক্ষেত্রে অনন্ত মরীচিকার প্রবাহ । এতদিন বিজ্ঞান ব’লে আসছিল সেই পরিবতনের মধ্যে একটা বাধা নিয়মের সুদৃঢ় ধ্রুবসূত্র আছে । আজ বলছে সে-কথা সম্পূর্ণ সত্য নয়, থেকে থেকে অঘটন ঘটে, তুই-দুইয়ে পাঁচও হয় নিত্য এবং আকস্মিকের দ্বন্দ্ব সমাসে । বস্তুজগতের তত্ত্বালোচনা আমার কলমে শোভা পায় না, বলছিলুম ভাবজগতের কথা, বিশেষভাবে সাহিত্যকে নিয়ে । এই জগতে নিন্দ প্রশংসার নিত্যতার কথা কে বলতে পারে। সমালোচকের দৈবজ্ঞের সাজ পরে গণনা করে কুষ্টি তৈরি করছেন —তখনকার মতে। সে কুষ্টি দাম দিয়ে কিনে লোকে মাথায়