পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র ধারা 8 هد করে নিচ্ছে—কিন্তু হায়রে শেষকালে আয়ুর কোঠায় মিল পায় না, গুণাগুণ ফলাফলও তথৈবচ। তবুও মানবপ্রকৃতি । একেবারে উন্মাদ নয়, মোটামুটি তার মধ্যে একটা হিসাবের ধারা পাওয়া যায়, যদিচ সে হিসাব সম্বন্ধে গণনার ভুল প্রতিদিন ঘটে। গতকল্যের গণনার ভুল আজকে দেখে র্যারা খুব উচ্চকণ্ঠে হাসছেন আবার তারাই দেখি খুব দস্তসহকারে ছক কেটে গণনায় বসে গেছেন । দুঃখের । বিষয় এই যে তাদের গণনা অপ্রমাণ হয় ভাবীকালে, অা শু তারা নগদ বিদায় পান, লোকে যেটা শুনতে চায় সেইটেকে খুব বিজ্ঞের মতো বিছে ফলিয়ে বলবার শক্তি আছে র্তাদের, নিজের ও অন্যের ঈর্ষাবিদ্বেষকে তারা উপস্থিত মতো খোরাক জুগিয়ে তাদের পালোয়ান ক’রে তোলেন, অবশেষে তুদিন বাদে তাদের কথা কারো মনেও থাকে না, সুতরাং তখন তাদের মিথ্যে ধরা পড়লেও জবাবদিহি করবার জন্তা কোনো আসামীকে হাজির পাওয়া যায় না।—সন্দেহ হচ্ছে মনের মধ্যে অনেকদিনের অনেক ঝগড়া জমা হয়ে রয়েছে তোমার পত্ৰযোগে সেগুলোকে নিরাপদে ব্যক্ত করতে বসেছি। কিন্তু কিসেরই বা আক্ষেপ । খ্যাতি জিনিসটার পনরো আনাই মৃত্যুর পরবর্তী ভাবীকালের সম্পদ, সে সম্পদ খাটি কি মেকি তাতে কার কী আসে যায়, যিনি প্রশংসা পেতে চান তিনিও পান এমন কিছু যা কিছুই নয়, আর যিনি গাল দিয়ে খুশি হোতে চান তারও সে খুশি শূন্যের উপর। মায় { “অতএব বলি শুন ত্যজ দস্ত তমোগুণ ।” অতএব যা চারদিকে