পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রান্তে Σ & 4 8。 বাংলাভাষায় একটা শব্দ প্রচলিত হয়েছে, “সাময়িক পত্ৰ” কিন্তু পত্রপুটে সময়কে ধরবার এবং পাঠাবার উপায় নেই। জম নিতে যখন আমার ছবির আসর জমেছিল তার সংবাদ পৌছেছে কবে জানিনে—অথচ আজ তোমার চিঠিতে যখন জানলুম ছবির খবর তোমরা পাওনি তখন সেই খবরের সময়ও নিশ্চয় পেরিয়ে গেছে । এদিকে আজ আমার জমনির পাল৷ সাঙ্গ হোলো, কাল যাব জেনিভায় । এ পত্র পাবার অনেক আগেই জানতে পেরেছ যে জমনিতে আমার ছবির আদর যথেষ্ট হয়েছে । বলিন স্যাশনাল গ্যালারি থেকে আমার পাচখানা ছবি নিয়েছে। এই খবরটার দৌড় কতটা আশা করি তোমরা বোঝে। ইন্দ্রদেব যদি হঠাৎ তার উচ্চৈঃশ্রবা ঘোড়া পাঠিয়ে দিতেন আমাকে স্বর্গে নিয়ে যাবার জন্ত্যে তাহলে আমার নিজের ছবির সঙ্গে, পাল্লা দিতে পারতুম। কিন্তু এ সব কথা আমার আলোচনা করবার উৎসাহ হয় না— কে জানে কেন । বোধ হয় আমার মনের ভিতরে একটা বৈরাগ্য আছে, আমাদের দেশের সঙ্গে আমার চিত্র-ভারতীর সম্বন্ধ নেই ব’লে মনে হয় । কবিতা যখন লিখি তখন বাংলার বাণীর সঙ্গে তার ভাবের যোগ আপনি জেগে ওঠে। ছবি যখন আঁাকি তখন রেখা বলো রং বলে। কোনো বিশেষ