পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>こ じ পত্রধারা প্রদেশের পরিচয় নিয়ে আসে না । অতএব এ জিনিসটা যারা পছন্দ করে তাদেরই, আমি বাঙালি ব’লে এটা আপন হতেই বাঙালির জিনিস নয়। এইজন্তে স্বতই এই ছবিগুলিকে আমি পশ্চিমের হাতে দান করেছি। অামার দেশের লোক বোধ হয় একটা জিনিস জানতে পেরেছে যে আমি কোনো বিশেষ জাতের মানুষ নই ; এইজন্তেই ভিতরে ভিতরে তারা আমার প্রতি বিমুখ, কটুক্তি করতে তাদের একটুও বাধে না । আমি যে শতকরা একশো হারে বাঙালি নই, আমি যে সমান পরিমাণে যুরোপেরও এই কথাটারই প্রমাণ হোক আমার ছবি দিয়ে । অনেক পূর্বপরিচিত জায়গা দিয়ে ঘুরে এলুম, তেমনি করে বক্তৃতাও দিয়েছি। কিন্তু এই যাত্রায় আগের বারের চেয়ে জমানির অন্তঃপ্রকৃতির মধ্যে আমার প্রবেশাধিকার ঘটেছে । ওদের কাছাকাছি এসেছি । এদের মধ্যে যে যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্বজাতীয়তা আছে তা নয়, য়ুরোপের অন্য সকল জাতের হাতের ঠেলা খেয়ে এর ভিতরে ভিতরে খুব কঠোরভাবেই ন্যাশানালিস্ট হয়ে উঠেছে। অথচ আমার উপরে এদের একটা বিশেষ প্রীতি কেন আছে ঠিক ভেবে পাইনে। আর যাই হোক অসামান্ত এদের শক্তি, প্রকাণ্ড এদের বুদ্ধি, ত৷ ছাড়া সব জিনিসকে সমষ্টীকরণের ক্ষমতা এদের আশ্চর্য। আমার তো মনে হয় যুরোপের কোনো জাতেরই সকল বিষয়েই এত বেশি জোর নেই। জমনির বিভীষিকা ফ্রান্সের মনে কিছুতেই যে ঘুচতে চায় না তার মানে বুঝতে পারি।