পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রান্তে \ ১৩৩ Q○ গাছপালাগুলো তুলছে—হাওয়া দিয়েছে পশ্চিমের দিক থেকে। রোদরে সোনার রং ধরেছে। এই রংটাতে মন ভোলায়—অনির্দিষ্ট কোন সুদূরের জন্যে মন কেমন করে। মানুষের মন দুইবাসার পাখি, একটা কাছের বাসা, একটা দূরের। শরৎকালটা হচ্ছে দূরের কাল—আকাশের আবরণটা উঠে গেছে কিনা, আর যে আলোটা সমস্ত ভাবনাকে রাঙিয়ে তোলে, সেটা যেন দিগন্তপারের প্রাসাদবাতায়ন থেকে বিচ্ছুরিত হয়ে আসছে, আর তারি সঙ্গে ভেসে আসছে একটি অশ্রুত ধ্বনির সানাইয়ে মূলতানের আলাপ | এখন বেলা তিনটে হবে—রথী বেীমা পুপে, এই ট্রেনে যাত্রা করছে দার্জিলিঙের উদ্দেশে । আজ ছুটি-পাওয়া ছেলেমেয়ের দলও চলল বাড়িমুখে । আজ অপরাহ্লের আকাশে এই যানে ওয়ালাদের স্রোতের টান ধরেছে—মনে হচ্ছে ঐ শিউলিগাছগুলোও উন্মনা হয়ে দাড়িয়ে আছে, দুটো একটা চলতি মেঘের দিকে তাকিয়ে। মনকে বোঝাচ্ছি, কতব্য আছে,— কিন্তু আজ এই দিগন্তব্যাপী ছুটির বেলায় কতব্যটা উজোনের নৌকো, গুণ টেনে হাপিয়ে মরতে হবে—প্রাণটা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। ছুটির ঘণ্টা বাজছে আমার বুকের মধ্যে, শিরায় শিরায় রব উঠছে দৌড় দৌড় দৌড়। কিন্তু হায়রে, অামার