পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>や8 *| পত্রধারা বয়েস আমাকে শিকল দিয়ে বেঁধেছে—স্থাবর শক্তিকে নড়াতে গেলে অনেক টানাটানির দরকার, ফস ক’রে কোমর বেঁধে বেরিয়ে পড়লেই হোলো না । তাই ডাঙার বটগাছের মতে৷ মস্ত ছায়া মেলে তাকিয়ে দেখছি, ঢেউগুলো লাফ দিয়ে দিয়ে চলেছে রৌদ্রে ঝিলমিল করতে করতে—তাদের সঙ্গে স্বর মেলাতে চায় আমার অন্তরের মমরধ্বনি—কিন্তু তাতে দীর্ঘনিঃশ্বাসের সুর লাগে। আমিও তে। যানে-ওয়ালা, কিন্তু আমার যাত্রা একান্ত ডুবে যাওয়ার দিকে, সামনের পথে ছুটে যাওয়ার দিকে নয়। ছুটির এই চঞ্চলত কাল পরশুর মধ্যেই শাস্ত হয়ে যাবে, তখন মনের পালে উদাস হাওয়ার বেগ যাবে কমে, তখন কম হীন প্রহরগুলোর স্তব্ধতার মাঝখানে বসে ওই বিলিতি নিমের নিঃশব্দ বীথিকার দিকে চুপ করে চেয়ে থাকবার সময় আসবে। অভিনয়ের খবর দিতে অনুরোধ করেছিলে তারি ভূমিকাটা লেখা হোলো। অভিনয়টা হয়ে চুকে গেছে এই খবরটাতেই মন আছে ভরে । ওস্তাদজি গান বন্ধ করলেন—এসরাজের তার দিলে আলগা করে, বন্ধ রঙ্গমঞ্চের সাজসজ্জা সব খুলে ফেলেছে—ছেলেরা প্রায় কেউ নেই, কুকুরগুলো আসন্ন উপবাসের উদ্বেগ মনে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । আসল খবরটা দিয়ে ফেলি। ভালোই হয়েছিল অভিনয়, দেখলে খুশি হোতে, মেয়েরা নাচেনি, নেচেছিল ছেলেরা, সেট। পীড়াজনক হয়নি ।