পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রাস্তুে (? SD কাল সুয়েজে এসে খবর পেলুম যে, সন্তোষ মারা গেছে। মৃত্যুকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করা যে এত কঠিন তার কারণ অন্তের জীবনের সঙ্গে আমাদের জীবন ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। আমি আছি, অথচ আর যে-একজন আমার সঙ্গে এমন একান্ত মিলিত ছিল সে একেবারেই নেই এমন বিরুদ্ধ কথা ঠিকমতে৷ মনে করাই শক্ত । আমরা নিজেকে অনেকখানি পাই অস্তের মধ্যে—সন্তোষ সেই তাদেরই মধ্যে অন্ততম ছিল । আমার জীবনের একটা বিভাগ, সকলের চেয়ে বড়ে ও সত্য বিভাগ—তাকে নিয়ে সম্পূর্ণ ছিল। আমার মনে হচ্ছে সেইখানে যেন ফাক পড়ে গেল। সস্তোষের প্রতি আমার একটি যথার্থ নির্ভর ছিল কেননা আমার গৌরবে সে একান্ত গৌরব বোধ করত—আমার প্রতি কোনো আঘাত তার নিজের পক্ষে সব চেয়ে বড়ো আঘাত ছিল। যে-একজন ব্যক্তি বাইরের দিক থেকে শ্রদ্ধার দ্বারা আমাকে ডাক দিতে পারত সে রইল না । ইতি, ৫ ডিসেম্বর, ১৯২৬ ।