পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So I পত্রধার। অনেকক্ষণ তলিয়ে থাকতে পেরেছিল। সেইজন্তেই বক্তৃতাটি অতি সহজেই পাকা ফলের মতো বর্ণে গন্ধে রসে বেশ টসটসে হয়ে উঠতে পেরেছিল। পরদিন কায়রোর পালা। ঘণ্টা চারেক গেল রেলগাড়িতে। এবার হোটেল । হোটেল বলতে কী বোঝায় এবার তা তোমার খুব ভালো করেই জানা আছে। খুব বড়ো হোটেল—খুব মস্ত খাচা । পৌছলেম মধ্যাহ্নে । বৈকালেই সেখানকার সবের্ণত্তম আরবি কবির বাড়িতে চায়ের নিমন্ত্রণ। কবির নিমন্ত্রণ ছাড়া এই নিমন্ত্রণের আর একটি বিশেষত্ব এই যে, সেখানে ইজিপ্টের সমস্ত রাষ্ট্রনায়কের দল উপস্থিত ছিলেন। পাচটার সময় পালর্ণমেণ্ট বসবার সময় । আমার খাতিরে একঘণ্ট। সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাকে জানানো হোলো এমন ব্যবস্থা বিপর্যয় আর কখনো আর কারো জন্তে হোতে পারত না । বস্তুত এটা আমাকে সম্মান দেখাবার একটা অসামান্ত প্রণালী উদ্ভাবন করা। আমি বললেম, এ হচ্ছে বিদ্যার কাছে রাষ্ট্ৰতন্ত্রের প্রণতি, এ কেবলমাত্র প্রাচ্যদেশেই সম্ভবপর। ওখানে কানুন ও বেহালা যন্ত্রর্যোগে আরবি গান শোনা গেল—স্পষ্টই বোঝা গেল ভারতের সঙ্গে আরব পারস্তের রাগরাগিণীর লেন দেন এক সময় খুবই চলেছিল । মন্টকে বলব ইজিপ্টে এসে যেন সে এই তথ্যের গবেষণা করে। যখন ছুটি পেলুম তখন সমস্ত দিনের ক্লাস্তির ভূত আমার মেরুদণ্ডের উপর চেপে বসেছে, তার উপরে একটা অত্যুগ্র অজীর্ণ পীড়া আমার পাকযন্ত্রের মধ্যে বিপাক বাধিয়েছে। পাকযন্ত্রের কোনে। অপরাধ ছিল না। প্রথমত