পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)o s d পত্র ধারা X >

  • % 9, اما * }

মার্চমাসের শেষেই তোমরা দেশে এসে পৌছবে এই ভরসা দিয়েছিলে তাই ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত অামার চিঠির চরকায় স্থতো কাটবার মেয়াদ ছিল। এমন সময় হঠাৎ শুনি তোমাদের আসা ঘটবে না, আর আমার চরকার মেয়াদও বেড়ে চলল। গত সপ্তাহে তোমার সেই পরিচিত ফাউণ্টেন পেনটিকে বিশ্রাম করতে দিয়েছিলাম । ইতিমধ্যে আমার শনিগ্রহ একদিন রাত্রি দুটোর সময় আমাকে তলব করলেন। তখন বিছানায় শুয়েছিলুম। হঠাৎ একটা তীব্র শীতের হাওয়া হু হু ক’রে এসে আমাকে চঞ্চল ক’রে তুললে । শিওরের কাছের দরজাটা প্রবল বেগে বন্ধ করবার চেষ্টা করতে গিয়ে দরজাটা আমার ডান হাতের মধ্যমাঙ্গুলির উপর পড়ে তাকে পেষণ ক’রে ফেললে। ঐ মধ্যমাঙ্গুলিটিই শিশুকাল থেকে হেঁট হয়ে আমার লেখনীর ভার বহন ক’রে এসেছে । আমার সাহিত্যইন্দ্রের দুটি বাহন, একটি হচ্ছে বুড়ো আঙুল, সে হোলো ঐরাবত, আরেকটি ঐ মধ্যমিক তাকে বলা যায় উচ্চৈঃশ্রব । সে খুবই জখম হয়েছে। তাতে মিস্পষ্ট কাজ পাবার সুবিধে পেল। শুশ্রুষা পুরো জোরে চলেছে। ব্যাণ্ডেজের আবরণে আঙুলটা ইজিপ্ট দেশীয় মমির আকার ধারণ করেছে। নখটা তার কমে ইস্তফা