পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রাস্তে । 93. দিয়েও তবু নড়নড়ে অবস্থায় লেগে রইল। সে সম্পূর্ণ পদত্যাগ করলে আমি নিষ্কৃতি পাই। যাই হোক রচনার কাজটা এখন দুঃখসাধ্য। লেখার বিষয়টা যাই হোক তার লাইনে লাইনে আমার এই খোড়া আঙুলট করুণ রস সঞ্চার করছে। কথাটা জানিয়ে রাখলুম—কারণ চিঠির দৈর্ঘ্য প্রস্থের পরিমাণ পরিমাপ করে যখন দেন পাওনার তুলনামূলক সমালোচনা করবে তখন এই ব্যথার আয়তনটাকে আমার দিকে যোগ ক’রে দিতে হবে। এবারে দায়ে পড়ে চিঠি সংক্ষেপ করতেই হবে। কেবল একটা কথা সংক্ষেপে ব’লে নিই। o যখন কারো সম্বন্ধে আমার মনে ব্যক্তিগত ক্ষোভ জন্মে তখন তার তীব্রতাটা ভিতরে ভিতরে আমার পক্ষে লজ্জার কারণ হয়ে ওঠে । এই আত্মপীড়ন থেকে অনেক জিনিস কুৎসিত হয়ে দেখা দেয়। তার কুৎসাটাকে ভিতরে যখন টেনে নিই তখন আমার মন বলতে থাকে হার হোলো । বাইরের পরে বিরক্ত হয়ে নিজের ভিতরকার সামঞ্জস্যকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করলে তাতে নিজের ভারি লোকসান । এ কথা অনেক সময়ই মনে থাকে না, কিন্তু মনের আন্দোলন কোনো কারণে একটু বেশিদিন স্থায়ী হোলেই তখন লোকসানের চেহারাট স্পষ্টই বুঝতে পারি। কোনো কারণেই নিজেকে ছোটে। করবার মতো এমন বোকামি আর নেই.। ভালো ক’রে আত্মবিশ্লেষণ করলে একটা জিনিস আমার নজরে পড়ে, সে হচ্ছে আমার কত ব্যবুদ্ধিটা আসলে সৌন্দৰ্যবোধ । যখন বাইরের সঙ্গে মন কলহ করতে উষ্ঠত হয়—