পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রাস্তুে ১২ t আমার সেই আঙুল আজো বন্দীশালায়। যারা তাকে এই অবস্থায় রেখেছে—তারা বলছে ঐ হতভাগ্য এখনো আত্মশাসনের অধিকার পাবার যোগ্য হয়নি। তাই বন্ধনবশত তার আত্মপ্রকাশ অবরুদ্ধ। লেখার কাজ একপ্রকার বন্ধই আছে । আমার কলম খুড়িয়ে খুড়িয়ে মাঝে মাঝে এক একটা গান লেখে মাত্র –“মাত্র” বলছি জনসাধারণের দাবির মাত্রার মাপে । কাব্য রচনাতেও তারা মাপের ফিতে লাগায়। কাব্যরাজ্যে দশলাইনের একটা গানেরও আভিজাত্য থাকতে পারে এ তাদের বোঝানো শক্ত। বোম্বাই আমের চেয়ে চালকুমড়োকে যখন তারা বেশি। গৌরব দেয়, তখন সন্দেহ প্রকাশ করলে দাড়ি পাল্লা এনে হাজির করে। মনে স্থির করেছি “ম্যালেরিয়াবধ” নাম দিয়ে একটা মহাকাব্য লিখব তাতে কুইনীনকে করব প্রধান । নায়ক—কেরোসিন তৈলবাণে মশক সৈন্যদল বধ করবার পুনঃপুন সংগ্রাম হবে তার প্রধান বর্ণনার বিষয়--সাতটা সর্গের ভিতর দিয়ে প্লীহা যকৃতের বিকৃতি মোচন ব্যাখ্যা ক'রে ক্ষুদ্রকায়া কাব্যরচনার নাম দূর করবার ইচ্ছে রইল । সম্প্রতি আমার শরীরটা খিটমিট করছে। দু-চার দিন থেকে একটু একটু জ্বরের আভাসও দেখা দেয়। মনটা ক্লান্ত ।