পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রাস্তুে ృుల ভ্রমণ শেষ করে শান্তিনিকেতনে ফিরে এসেছি । আজ নববর্ষের দিন। মন্দিরের কাজ শেষ করে এলুম। বাইরের কেউ ছিল না কেবল আমাদের আশ্রমের সবাই । এবার আমার জীবনে নূতন পর্যায় আরম্ভ হোলো । একে বলা যেতে পারে শেষ অধ্যায়। এই পরিশিষ্টভাগে সমস্ত জীবনের তাৎপর্যকে যদি সংহত করে সুস্পষ্ট করে না তুলতে পারি তাহলে অসম্পূর্ণতার ভিতর দিয়ে বিদায় নিতে হবে। আমার বীণায় অনেক বেশি তার—সব তারে নিখুত সুর মেলানো বড়ো কঠিন। আমার জীবনে সব চেয়ে কঠিন সমস্ত আমার কবিপ্রকৃতি । হৃদয়ের সব অনুভূতির দাবিই আমাকে মানতে হোলো—কোনোটাকে ক্ষীণ করলে আমার এই হাজার স্বরের গানের আসর সম্পূর্ণ জমে না। অথচ নানা অনুভূতিকে নিয়ে যাদের ব্যবহার, জীবনের পথে সোজা রথ হাকিয়ে চলা তাদের পক্ষে একটুও সহজ নয়—এ যেন এক্কাগাড়িতে দশটা বাহন জুতে চালানো । তার সবগুলোই যদি ঘোড়া হোত তাহলেও একরকম করে সারথ্য করা যেতে পারত। মুশকিল এই, এর কোনোটা উট, কোনোটা হাতি, কোনোটা ঘোড়া, আবার কোনোটা ধোবার বাড়ির গাধা, ময়লা কাপড়ের বাহক । এদের সকলকে একরাশে বাগিয়ে