পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা পৃথিবী আপনাকে প্রকাশ করে দু'রকমের চলন দিয়ে। একটা চলন তার নিজেকে ঘিরে ঘিরে—আর একটা চলন বড়ে যাত্রাপথে, সূর্যের চারদিকে। পৃথিবীর বর্ষচক্রমণ্ডলে দেখা দেয় তার ঋতুপর্যায়, নানা জাতের ফল ফসলের ডালি ভরে ওঠে, সর্বজনের পণ্যশালায়। আর তার দিনযাত্রায় দেখা যায় জলে স্থলে আলো ছায়ার ইশারা, আকাশে আকাশে প্রকৃতির মেজাজ বদল, সকাল সন্ধ্যার দিক্‌সীমানায় রঙের খেয়াল, ঘুম জাগরণের আনাগোনার পথে নানা কণ্ঠের কলকাকলী। পৃথিবীর এই দুই শ্রেণীর প্রদক্ষিণের সঙ্গে তুলনা করা চলে সর্বজনের দরবারে সাধারণ সাহিত্যের আর অন্তরঙ্গ মহলে চিঠির সাহিত্যের গতিবিধির । সাধারণ সাহিত্যকে টানে বিরাট পাঠককেন্দ্র, চালায় দূর দেশ দূরকালের পথে ব্যক্তিগত জীবনের সীমানা ছাড়িয়ে । আর চিঠির সাহিত্যে ধরা দেয় লেখকের কাছঘেঁষা জগতের দৈনিক ছায়া প্রতিচ্ছায়া, ধ্বনি প্রতিধ্বনি, তার ক্ষণিক হাওয়ার মজি আর তার সঙ্গে প্রধানত মিলিয়ে থাকে সদ্যপ্রত্যক্ষ সংসার পথের চলতি ঘটনা নিয়ে আলাপ প্রতিলাপ | অন্তত যে চিঠিগুলি এই পত্রধারায় প্রকাশ করা হোলো তাদের সম্বন্ধে একথা অনেকখানি সত্য ।