পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রাস্তুে 86. আন্দোলনে কী দোলা লাগিয়েছি,-মনের মধ্যে ভারতবর্ষের একটা নিত্যরূপ দেখা দিচ্ছে অথচ তার সঙ্গে মানুষের বিশ্বরূপের বিরোধ নেই,—পল্লীতে পল্লীতে নিজের চেষ্টায় স্বাতন্ত্র্যের কেন্দ্র স্থাপনের কল্পনা মনের মধ্যে খেপে বেড়াচ্ছে, —শিলাইদহে নিজেদের জমিদারির মধ্যে তার চেষ্টাও घ्त्रएछ। आमात्र अिहे নানামুখী চেষ্টার মাঝখানে গভীর একটা তপস্যা ছিল—একেবারে ছিলুম সন্ন্যাসী, সত্যের অন্বেষণে এবং সত্যকে রূপ দেবার একান্ত সাধনায়। তখন বিপদ ছিল চারিদিকে এবং দারিদ্র্য ছিল ঘরের মধ্যে । সেদিনকার ঢেউ থামল কিন্তু আমার অন্তরের মধ্যে নিয়ত কম চলছেই। মনকে টানছে মানুষের দিকে—বাইরের বড়ো রাস্তায় । ডাকঘর লিখেছিলুম সেই কথাটা বলতে । দইওয়ালার হাক বলে। আর প্রহরীর ঘণ্টা বলে কিছুই তুচ্ছ নয়—তারা বিরাট বাহিরের বাণীতেই প্রকাশ পাচ্ছে—সেই বাহির আমাকে সেদিন বলছিল আমার মধ্যে তোমার স্থান । সেই সময়েই রোজ সকালে বিকেলে রাত্তিরে লিখছি গীতাঞ্জলির গান— শারদোৎসবে ছেলেদের সঙ্গে উৎসব জমিয়েছি, এখানকার শাল-বীথিকায় জ্যোৎস্না নিশীথে পরিপূর্ণ মন নিয়ে একলা একলা ঘুরেছি। সেদিন ছেলেরা নিশ্চয়ই আমার প্রাণোচ্ছাসের অংশ পাচ্ছিল, অন্তত আমি তাদের কৈশোরের রসে অভিষিক্ত ছিলুম। / এখন শরীর ক্লিষ্ট ক্লান্ত, মনের অনেকগুলো আলো নিভে গেছে—আমার সেদিনকার পরিচয়টাকে এখানকার