পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রান্তে &t ミ8 এতদিনে আমাদের মাঠের হাওয়ার মধ্যে শীত,এসে পৌছল। এখনো তার সব গাঠরি খোলা হয়নি। কিন্তু আকাশে তাবু পড়েছে। বাতাসে ঘাসগুলো, গাছের পাতাগুলো একটু একটু সির সির করতে আরম্ভ করল। তরুণ শীতের এই আমেজটায় কঠোরে কোমলে মিশোল আছে। সন্ধ্যাবেলায় বাইরে বসি কিন্তু ঘরের ভিতরকার নিভৃত আলোটি পিছন থেকে মৃত্স্বরে ডাক দিতে থাকে। প্রথমে গায়ের কাপড়টা একটু ভালো করে জড়িয়ে নিই, তার খানিকটা পরে মনটা উঠি উঠি করে, অবশেষে ঘরে ঢুকে কেদারাটায় আরাম করে বসে মনে হয় এটুকুর দরকার ছিল। এখন ছপুর বেলায় মেঘমুক্ত আকাশের রোদুর সমস্ত মাঠে কেমন যেন তন্দ্রালসভাবে এলিয়ে রয়েছে ; সামনে ঐ দুটো বেঁটে পরিপুষ্ট জামগাছ পূর্বউত্তরদিকে ঘাসের উপর এক এক পোচ ছায়া টেনে দিয়েছে। আজ ওখানে একটিও গোরু নেই, সমস্ত মাঠ শূন্ত, সবুজ রঙের একটা প্রলেপ আছে কিন্তু তার প্রায় অনেক কম। ঐ আমাদের টগরবীথিকার গাছগুলি রোদ ঝিলিমিলি এবং হাওয়ায় দোলাকুলি করছে। বাতাস এ তেতে উঠল না। নিঃশব্দতার ভিতরে ঐ রাঙা গোরু র গাড়ির একটা আত স্বর মাঝে মাঝে শোনা