পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রান্তে ৬৩

  • * २b~

কাল গাড়ি চলতে চলতে তোমাকে একখানা চিঠি । লিখেছিলুম। কিন্তু সে এমন একটা নাড়া-খাওয়া চিঠি, ভূমিকম্পে আগাগোড়া ফাটল-ধর বাড়ির মতো। তার অক্ষরগুলো অশোকস্তম্ভের প্রাচীন অক্ষরের মতো আকার ধরেছে, পড়িয়ে নিতে গেলে রাখাল বাড়জের শরণ নিতে । হয়। এই জন্যে সেই চিঠিখানার প্রত্যক্ষরীকরণে প্রবৃত্ত হোতে হোলো। এইটুকু গেল আজকের তারিখের অন্তর্গত। নিচে বিগত কল্যকার বাণী ঃ— । আজ তোমাদের বিবাহের সাস্বৎসরিক । এদিন । তোমাদের জন্মদিনের চেয়ে বড়ো দিন। সম্মিলিত জীবনের স্মৃষ্টির প্রথম দিন। সকল স্মৃষ্টির মূলে একটা দ্বৈততত্ত্ব আছে। মানুষের সংসাররচনার গোড়ায় দুই জীবনের গ্রন্থিবন্ধন চাই । উপনিষদে আছে এক বললেন আমি বহু হব, তার থেকে বিশ্ব সৃষ্টি। মানুষের জীবনে বহু বললে আমি এক হব তার থেকে মানুষের সমাজ, দুই বললে আমি এক হব তার থেকে মানুষের সংসার। তার পর থেকে মুখে দুঃখে ভালোয় মন্দয় বৈচিত্র্যের আর অন্ত নেই। আমি পূবে লিখেছি স্মৃষ্টির মূলে দ্বৈততত্ত্ব—কিন্তু কথাটা সম্পূর্ণ নয়—দ্বৈত এবং অদ্বৈতের সমন্বয়ই স্থষ্টি। তোমাদের মধ্যে এই দ্বৈত অদ্বৈতের সমন্বয়