পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e 呜 পত্র ধারা S) o জাহাজ জিনিসটাই আগাগোড়া চলে, কিন্তু আর সব চলাকেই সে সীমাবদ্ধ করে রেখেছে। এই বাসাটুকুর বেড়ার মধ্যে সময়ের গতি অত্যন্ত মন্দবেগে । সময়ের এই মন্দাক্রান্ত ছন্দে যে সব ঘটনা অত্যন্ত প্রধান হয়ে প্রকাশ পায় অন্যত্র ছন্দের বেগে সেগুলো চোখেই পড়তে চায় না। এই মুতুতেই ডাঙার মানুষ যে সব খেল খেলছে তা প্রচণ্ড খেল। —জীবন মরণ নিয়ে ছোড়াছুড়ি । জাহাজের ছাদে দুই পক্ষের খেলোয়াড় বিড়ে নিয়ে ছোড়াছুড়ি করছে। তাতেই উৎসাহ উত্তেজনার অস্ত নেই। এই সব দেখলে একথা স্পষ্ট করেই বোঝা যায় যে স্থানান্তরকে লোকান্তর বলে না। বিশেষ বিশেষ বেড়া বেঁধে সময়ের গতির মধ্যে পরিবতন ঘটিয়ে আমাদের জগতের বিশেষত্ব ঘটাই। তার মানেই হচ্ছে ছন্দ বদল হোলেই রূপের বদল হয় । আমি এবং আমার প্রতিবেশী ইংরেজ এক জায়গায় বাস করি কিন্তু এক জগতে নয়। তার মানে তার জীবনে কালের ছন্দ আমার থেকে স্বতন্ত্র । সেই জন্তেই তার খেলার সঙ্গে আমার খেলার তাল মেলে না। আমি ঠেলাগাড়িতে চলছি, সে মোটরে চলছে—আমাদের উভয়ের সময়ের পরিমাণ এক, লয় আলাদা। বস্তুত এক হোলেও ঝাপতালে এবং চিমেতেতালায় তার মূল্য সম্পূর্ণ বদলে দেয়। মামুষে মানুষে সুরের ঐক্য থাকতেও পারে ; সব চেয়ে বড়ো অনৈক্য তালের । তালের দ্বারা জীবনের ঘটনা