পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| o তখন তাদের সাহচর্যে-গাথা পথযাত্রার ছিন্ন সূত্রকে যে সব চিঠির দ্বারা জুড়তে জুড়তে চলে ছিলুম দেশের দিকে, সেই গুলি ও তারই পরবর্তী কালের চিঠিগুলি পত্রধারার তৃতীয় পর্যায়ে সংকলিত হোলো । কিছুকাল ধরে নতুন নতুন অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে নিরস্তুর যে তর্কবিতর্ক আলোচনা চলেছিল তারই বাক্যালাপের বেগ এই চিঠিগুলির মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু য়ুরোপভ্রমণের বৃত্তান্ত যা কোথাও প্রকাশ পেল না তার দাম খুব বেশি। যে সকল চিন্তা ও চেষ্টার অনুষঙ্গে বলবার বিশেষ বিষয় মনের মধ্যে মথিত হয় ও রচনার মধ্যে দানা বাধে তাদের উপলক্ষ্য জীবনান্ত কাল পর্যস্ত থাকে । কিন্তু মানসিক জীবনে যে স্রোতাবেগে চলার সঙ্গে সঙ্গে বলা আপনি মুখরিত হয়ে ওঠে একদিন তার একটা অবসন্নতা বা অবসান আছে । ভরতি মনের অবস্থায় জরুরি কথা ছাপিয়েও উদ্বত্ত থাকে মুখরতা । যারা মজলিসি স্বভাবের লোক তাদের সেই উদ্বত্ত প্রকাশ পায় বৈঠকে, যারা অন্তনিবিষ্ট তার স্বগত উক্তি লেখেন ডায়ারিতে, আমার মতে র্যাদের রচনায় মেীতাত র্তারা বকুনি চালান করেন এমন কারোর কাছে র্যাদের দিকে চিঠির রাস্তা সহজ হয়ে গেছে । অবশেষে মনটা এমন অবস্থায় এসে ঠেকে যখন উদ্ধৃত্তের উদ্বেলতা তটসীমার নিচে তলিয়ে যায়, জীবন নদীতে চলার ধারায় বলার কল্লোল মরে আসে। আজ কাছে এসেছে আমার সেই ধ্বনিহীনতার বয়েস, স্বেচ্ছারচিত চিঠি লেখার দিন গেছে পেরিয়ে ;–