পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রাস্তে । brQ ○○ প্ল্যাটিনমের আঙটির মাঝখানে যেন হীরে—আকাশের দিগন্ত ঘিরে মেঘ জমেছে, তার মাঝখানের ফাকু দিয়ে রোদ্দুর পড়েছে পরিপুষ্ট শু্যামল পৃথিবীর উপরে। আজ আর বৃষ্টি নেই—হুহু ক’রে হাওয়া দিচ্ছে, সামনে পেপে গাছের পাতা কঁপিছে, আরো দূরে উত্তরের মাঠে আমার পঞ্চবটীর নিমগাছের ডালে ডালে চলছে আন্দোলন, আর তার পিছনে এক দাড়িয়ে আছে তালগাছ, তার মাথায় যেন বিস্তর বকুনি। বেলা এখন আড়াইটে । আমার আবার দৃশ্য পরিবতন হয়েছে—উদয়নের দোতলায় বসবার ঘরের পশ্চিম পাশে যেনাবার ঘর ছিল, প্রোমোশন হয়ে সেটাই হয়েছে বসবার ঘর— তার পাশের ছাতটুকুতে নাবার ঘরের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। মস্ত একটা টেবিল পেতে বসেছি—পিছনে দক্ষিণ দিকের আকাশ, সামনে উত্তর দিকের। আষাঢ় মাসের স্নাননিমল স্নিগ্ধ মধ্যাহ্নটি এই ছদিকের খোলা জানলা দিয়ে আমার এই নির্জন ঘরের মধ্যে এসে দাড়িয়েছে। মনে মনে ভাবছি কেন এমন দিনে বহু আগেকার দিনের একটা আভাস চিত্ত আকাশের দিক প্রান্তে অদৃশ্য কোন রাখালের মতে মূলতানে বঁশি বাজায় । অর্থাৎ এ রকম দিন যেন বতমানের কোনো দায়কে স্বীকার করে না, এর কাছে জরুরী কিছুই নেই—যেসব দিন একেবারে চলে গেছে এ তারি মতো বতর্মান ভবিষ্যতের বঁাধনছেড়া উদাসী—কারো কাছে কোনো জবাব