পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রান্তে vన দুঃখে বিজড়িত একটা বিপুল ইতিহাস। কিন্তু সমস্তই আমাদের চোখে হালকা হয়ে ঘটনাপ্রবাহ আকারে দেখা দিচ্ছে । অনেক মানুষ আছে যারা এই জানলার ধারে বসে যা দেখে তাতে একরকমের আনন্দ পায় । যারা ভালো চিঠি লেখে তারা মনের জানলার ধারে বসে লেখে—আলাপ করে যায়-- তার কোনো ভার নেই, বেগও নেই, স্রোত আছে। এই সব চলতি ঘটনার পরে লেখকের বিশেষ অনুরাগ থাকা চাই, তাহলেই তার কথাগুলি পতঙ্গের মতো হালকা পাখা মেলে হাওয়ার উপর দিয়ে নেচে যায়। অত্যন্ত সহজ ব’লেই জিনিসটি সহজ নয়—ছাগলের পক্ষে একটুও সহজ নয় ফুলের থেকে মধু সংগ্রহ করা । ভারহীন সহজের রসই হচ্ছে চিঠির রস। সেই রস পাওয়া এবং দেওয়া অল্প লোকের শক্তিতেই আছে । কথা বলবার বিষয় নেই অথচ কথা বলবার রস আছে এমন ক্ষমতা কজন লোকের দেখা যায় । জলের স্রোত কেবল আপন গতির সংঘাতেই ধ্বনি জাগিয়ে তোলে, তার সেই সংঘাতের উপকরণ অতি সামান্ত, তার কুড়ি, বালি, তার তটের বঁকিচোর, কিন্তু আসল জিনিসটা হচ্ছে তার ধারার চাঞ্চল্য । তেমনি যে-মানুষের মধ্যে প্রাণস্রোতের বেগ আছে সে মানুষ হাসে আলাপ করে, সে তার প্রাণের সহজ কল্লোল,—চারিদিকের যে-কোনো কিছুতেই তার মনটা একটুমাত্র ঠেকে তাতেই তার ধ্বনি ওঠে। এই অতিমাত্র অর্থভারহীন ধ্বনিতে মন খুশি হয়—গাছের মমরধ্বনির মতে। প্রাণ-আন্দোলনের এই সহজ কলরব। "تاره է :