শাখে বসি পাখা, মুদি দুটি আঁখি,
ফল জল তেয়াগিয়া।
ধেনু বুথে বুথে, দাঁড়াইয়া পথে,
কার মুখে নাহি রা।
নগরে নাগরী, কাঁদরে গুমরি,
থাকয়ে বিরলে বসি।
না মেলে পসার না করে আহার
কারো মুখে নাহি হাসি।’’
‘‘শুনি শচী আই, সচকিতে চাই,
কহিলেন পণ্ডিতেরে।
কহে তাঁর ঠাঁই আমার নিমাই।
আসিয়াছে কত দূরে।’’
চন্দ্রার কথার উত্তরে কৃষ্ণের প্রত্যুত্তের একবার যাত্রায় শুনিয়াছিলাম। সে গানটি মনে নাই, কিন্তু তাহার ভাব এখনও ভুলিতে পারি নাই। তাহা বঙ্গের পরিত্যক্ত পল্লীর কথা পুনঃ পুনঃ মনে করাইয়া দিয়াছিল। প্রথম ছত্রটি মনে আছে; কৃষ্ণ বলিতেছেন—তুমি আমাকে যেতে বল্ছ, কিন্তু আমি—“আর কি ব্রজ তেমন পাব?”—আর কি রাখালেরা আমায় তেমনই করিয়া তাহাদের একজন ভাবিতে পারিবে? মথুরা-মধ্যে আসিয়া একটা ব্যবধানের সৃষ্টি করিয়াছে—তাহা উত্তীর্ণ হইয়া আর কি ব্রজবাসীরা আমার সঙ্গে তেমনই ভাবে মেলা-মেশা করিতে পারিবে? আর কি গোচারণের মাঠগুলি তেমনই আছে? সখারা কি উচ্ছিষ্ট ফল হাতে লইয়া ছুটিয়া আসিয়া তেমনই করিয়া আমার মুখে দিতে পারিবে? আর কি মা যশোদা হাতে ননী লইয়া আমার জন্য তেমনই পাগলিনীর মত পথে দাঁড়াইয়া গোঠের দিকে চাহিয়া থাকিবেন? যে-ব্রজের রাখালকে দিয়া তোমরা দাসখৎ লিখাইয়া লইয়াছিলে, তাকে কি