পাতা:পদার্থবিদ্যাসার.djvu/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

57 শিষ্য | এইরূপ জলের গমনাগমন হওয়াতে আমাদের উপকার কি ? - יטת ਾ | চন্দ্র সূর্যের মোকর্মর্শদ্বারা যে জলের ছাস বৃদ্ধি হয় ইহ। শুনিয়াছ, কিন্তু বয়োধিক হইলে তাহার তাৎপৰ্য্য সুন্দরৱপ বুঝিতে পারিব। জলের গমনাগমনে ক্লেদ জন্মিতে পারে না; কিন্তু যদি তাহার গমনাগমন না থাকে তৰে জল মলিন হইয় দুৰ্গন্ধ হয় তাহ কেবল নয়, বাণিজ্যর্থে জাহাজেরও গমনাগমন দুঃসাধ্য হয়, । - শিষ্য। তাবৎ নদনদীর জল সমুদ্রে প্রৰিষ্ট হইলেও সমুদ্রের বৃদ্ধি হয় না কেন ? - ! . গুরু। তাহার কারণ কি জান না, নদনদীর যত জল সমুদ্রে প্রবিষ্ট হয় সকল সূর্য সন্তাপে বায় হইয়। উদ্ধে উঠিয়া যায়। শিষ্য। সমুদ্রের গাম্ভীৰ্য কি অতিশয় নয় ? . . গুরু। সকল স্থানে সমানরূপ নয়। কোনং স্থানে এমত r আছে যে এক সহসু পাঁচ শত ষাইট গজ পরিমাণের রজ্জ্বদ্বারাও মৃত্তিক মর্শ হয় না। - - শিষ্য। সমুদ্রের এত গাম্ভীৰ্য্য কেন ? ' গুরু। পরমেশ্বর নিজ বেশধানুসারে উপযুক্তরূপেই জল ও ভূমি স্থাপন করিয়াছেন ইহাতে সন্দেহ কি। কেননা সমুদ্র অতিগভীর হউক পরমেশ্বরের এমন ইচ্ছা হওয়াতে সে গড়ারহইয়া জল সমূহ ধারণ করে। এই জন্যে পৃথিবীর সমস্ত ভাগ জলপ্লাবিত না হওয়াতে অনেক ভূমি শুস্কৃরূপ দেখা যাইতেছে। শিষ্য। সমুদ্রের জল এমত লবণাক্ত কেন ? গুরু। কারণ সলবণ জল হঠাৎ দুৰ্গন্ধ হয় না, বিশেষতঃ সমুদ্রের লবণদ্বারা মনুষ্যদিগের বিস্তুর উপকার জন্মে। \ শিষ্য। সমুদ্রহইতে কি লবণ জন্মে ? f গুরু। হা, লোকের সমুদ্রের জলহইতে অনেক লবণ উৎপন্ন করে। সমুদ্রতালু বৃহ২২ গৰ্ত্ত খনন করিয়া সমুদ্রের নলৱণ জল স্তন্মধ্যে প্রৱেশ করায় পরে ঐ জলকে সূর্যসন্তাপে