পাতা:পদ্মপুরাণ - বিজয় গুপ্ত.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুবৰ্ণ রাজত লৌহ তামা পিতল। তোমার অগ্নি জ্বালে হইবে কোমল ৷ সঙ্গীতজ্ঞানে গৌরব করিবে সর্বজন । মরিলে মরা জিয়াইব হারাইলে পাবা। ধন অনিরুদ্ধ তোমার হইবে অবশ্য। নরলোকে ইতার না কহিও রহস্য ৷ সাত পাঁচ দুঃখ ৰিঙ্কছু না ভাবিও মনে । দুই কুল উদ্ধারিয়া আসিবা এত দিনে ॥ অন্তৰ্দ্ধান অগ্নিদেব হইল তখন ॥ স্বরূপে অগ্নিতে প্ৰবেশ করিলা দুইজন ৷ চন্দন কোষ্ঠের অগ্নি জ্বলিছে প্রচুর। একদৃষ্টি চাহে সবে মন্দাকিনী কুল ৷ যখনে অগ্নিতে প্ৰবেশ করিলা দুই জন ॥ চিত্ৰগুপ্ত করে যমপুরে লিখন। আয়ুশেষু, পরমায়ু দিনে দিনে ঢাকি । পাতে পাতে লিখে ওয়াশীল বাকী। ~ টুটিল কাল তাহার আয়ু হইল শেষ। কোন দূত পঠাইবা করহ আদেশ৷ • চিত্রগুপ্তেব মুখে যম শুনিয়া বচন । দোহারে, আনিতে পাঠায় দূত তিন জন ৷ ত্ৰিদশ ব্রিশিরা আর শূকর বদন। লোহার দড়ি পরিধান রক্তলোচন ৷ লোহর দড়ি লইয়া চলে লোহার মুষল । বায়ুগতি যায় দূত শূন্যে করি ভর || তাড়াতাড়ি যায় দূত জাহ্নবীর তটে । বেড়িয়া রহিল গিয়া কুণ্ডের নিকটে। লোহার মুদগর মারে কুণ্ড চাপিয়া । অনিরুদ্ধ উষারা প্ৰাণ লইল কোড়িয়া ॥ অনিরুদ্ধ উষার প্রাণ দূতে লইয়া যায়। পাগল,আঁখি করিয়া তাহারে বিষহরী চায় । কোথা হইতে আসিয়াছ তুই বেটা কে । প্ৰাণে যদি না মরিবি পরিচয় দে ৷ পাপিজন নিতে তোর যমের অধিকার । পুণ্য জনে নিতে যম কোথাকার ছার ॥ দ্বারকার লোক নিতে না পার এক গোটা । হরিশ্চন্দ্র রাজা হইতে"মোরে দেখ টুটা ৷ কোন কৰ্ম্ম করিতে যম হইল উপযোগ । সৰ্ব্বক্ষণ পাপ ভুঞ্জে শরীর বাড়ে রোগ। দূত বলে পদ্মাবতী বৃথা হও কৃপিত। আমার যমের অধিকার সংসার বিদিত ॥ " কীট পতঙ্গ যত আছে। এ সংসারে । কোন জন না যায় মোর যমের দ্বারে ৷ চৌদ্দ সহস্ৰ কুম্ভীপাকে কৃষ্ণ বজ্জিত । কোনজন না যায় আমার যমের বিদিত ৷ शृछ्व् अव्न एलां,भन्न ङाश् छति यङ । লম্বোদর লম্ব দেখিতে অদ্ভুত ৷ হেন যমের পদ্মা যে হয় তাপি । যমের দোষ নাই সেই সব পাপী ॥ ত্ৰিদশ ভুবনে মোর যম মহাশয়। তঁহার প্রসাদে মোর কাহারে নাই ভয় ॥ যাহার নুণি খাই তাহার কৰ্ম্ম করি । অকারণে পাগল আঁখি কেন কর বিষহরী | যমের প্রসাদে নাহি কাহার কুপ্পার। অকারণে লজ্জা পাইবা জয় বিষহর । দূতের মুখে পদ্মাবতী পাইয়া অনুত্তর। পাগগণের তরে দেবী বলে ধর ধর । ধৰ্ম্ম ধর বলিয়া দেবী জ্বলিয়া গেল কোপ । হরিণ দেখিয়া যেন বাঘে মারে ছোপ ৷ পদ্মার আদেশে নাগে মারিলেক ছোপ । শুকনা কণ্ঠেতে যেন কুড়ালের কোপ ৷ বিস্তর দুৰ্গতি কৈলা কেহ নাহি কাছে। ঝড়ে উড়াইল যেন দুই তাল গাছে ৷ বিষের আজরে লোটায় ভূমিতলে। অনিরুদ্ধ উষা জীব (পদ্মা) বঁধিলা আঁচলে ৷