পাতা:পদ্মপুরাণ - বিজয় গুপ্ত.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- 1 নেতার ব্যান্ত্রিরূপ ধারণ। পদ্মাবতী বলে নেওঁ সমুদ্রকুলে যাও। ব্যান্ত্ররূপ ধরিয়া লখাইর অস্থি খাও ৷ অস্থি মাংস খাইও সব না থুইও শেষ । পাছে যেন খুজিয়া তার না পায় উদ্দেশ৷৷ গাঙ্গরীর মধ্যে বেহুল চিন্তে মনে মন । একখান চর দেখে তথা অতি রম্য বন ৷ বিপরীত শাল বন ব্যান্ত্র শোভে তাতে । মনুষ্যের গতি নাই সাত দিনের পথে ৷ শাল বন দেখি বেহুলার স্থির নহে হিয়া । বিক্ৰম করিয়া বাঘিনী উপস্থিত গিয়া ॥ অপূর্ব সুন্দর গাও বড়ষ্ট সুঠাম | উভা লেজ করিয়া সারিল দুই কান ৷ খাম খাম করিয়া ডাকে বিপরীতে রায় । দুই আঁখি পাকাইয়া লখাই খাইতে চায় ৷ সাহের কুমারী বেহুলা বড় বুদ্ধিমতী । হস্তযোড় করিয়া বাঘেরে করে স্তুতি ॥ বেহুল বলে বাঘ তুমি দেব অধিষ্ঠান । বনচর জন্তু মধ্যে তুমি সে প্রধান ৷ অভাগিনী নারী আমি লোকে করে ঘুণ। বিয়ার রাত্রে মৈল স্বামী অযশ ঘোষণা | অনেক দিনের মর গায়ে আছে পোক । পচা মাংস খাইলে তোমার না। যাইবে ভোক অভাগিনী বেহুলার সহায় কেবা আছে । আগেতে আমারে খাও প্রভুরে খাই4 পাছে । বেহুলার সে কথা শুনি দুঃখিত হৃদয় । ততক্ষণে বেহুলারে নেতা দিল পরিচয় ॥ অশেষ বিশেষ দেখি বেহুলার ব্যগ্ৰতা । বাঘিনী না হই আমি ধোপা কী যে নেতা ৷ মনসার অনুরোধ না পারি এড়াইতে । তেকারণে আসিলাম তোমার স্বামী খাইতে । | २ss সাহস করিয়া বেহুল সাধিছ সকল । আমি বর দিলাম। কাৰ্য্যে হইবে কুশল৷৷ কিছু ভয় নাই তোমার যা ও শীঘ্ৰ করি"। চাৰি দিন পরে পাবা মনসার পুস্ত্রী ৷ ‘ · মাজুষ উপরে তুমি হইয়া দেখ খাড়া । তথা হইতে দেখা যায় পদ্মার ঘরের চূড়া। এতেক বলিয়া নেতা হইল উদ্ধ দৃষ্টি । বেহুলার উপরে করে দেবে পুষ্পবৃষ্টি । আর এক কথা কহি শুনা উপদেশ । অষ্ট নাগ বন্দী করি কেন দেও ক্লেশ ৷ না খায় আহার পানি পবন পিয়া থাকে। " অষ্ট নাগ ছাড়িয়া বেহুলা দেও একে একে এতেক বলিয়া নেতা কামরূপে চলে । সোতে মাজুষ দিয়া বেহুলা যায় জলে ৷ সমুদ্র দেখিয়া বেহুল ভাবে মনে মন । পদ্মাবতী বলে নেতা শুনহ বচন ' ' ' এঈইেক্ষণে চল নেতা শীঘ্ৰ করি যাওঁ । চিলরািপ ধরিয়া লখাইর মাংস খাওঁ ৷

নেতার চিলরািপ ধারণ । , উড়িয়া চলিল নেতা সমুদ্র ভিতর'। ছাপ দিয়া নিতে চাহে লখাইর পাজয় ৷ অঞ্চলে চাপিয়া তবে লখাইর পাজার । চিলনীরে স্তুতি করে হাত করি যোড় ৷ বেহুলা বলে লক্ষ্মীন্দর তোমার জামাই। কেমনে তাহার অঙ্গে ছোপ দিবা আই ॥ বেহুলা কাকুতি কুরে করিয়া ব্যগ্ৰতা । লজ্জা পাইয়া নিজ ঘরে চলে গেল নেতা। নেতা যদি ঘরে গেল ভাবে মনে মন । নেতার বচনে তবে পড়িল স্মরণ ॥