পাতা:পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিণীতা wds ফেলিয়া কিরূপ নূতন অট্টালিকা প্ৰস্তুত করিবেন, তাহাই ভাবিয়া রাখিয়াছিলেন । শ্লেষ করিয়া বলিলেন, তা এখন নিষেধ তা হবেই। ভায়া, দোষ তোমার নয়, দোষ আমার । দোষ, টাকাটা ফিরে চাওয়ার, নইলে কলিকাল বলেছে কেন ! গুরুচরণ অত্যন্ত ব্যথিত হইয়া বলিলেন, সে কি কথা দাদা । আপনার টাকার ঋণটাই শোধ করেছি, কিন্তু আপনার দয়ার ঋণ ত শোধ করতে পারিনি । নবীন হাসিলেন । তিনি পাকা লোক, এ-সকল কথা বিশ্বাস করিলে গুড় বেচিয়া এত টাকা করিতে পারিতেন না । বলিলেন, সে যদি সত্যিই ভাবতে ভায়া, তা হলে এমন ক’রে শোধ ক’রে দিতে না । না। ' হয়, একবার টাকাটাই চেয়েছিলাম, সেও তোমারি বৌঠানের অসুখের জন্যে, আমার নিজের জন্যে কিছু নয়, -বলি কত সুদে বন্ধক রাখলে বাড়ীটা ? গুরুচরণ ঘাড় নাড়িয়া কহিলেন, বন্ধক রাখিনি-সুদের কথাও কিছু হয়নি। নবীন বিশ্বাস করিলেন না, বলিলেন, বল কি, শুধু হাতে ? হাঁ দাদা, একরকম তাই বটে। ছেলেটি বড় সৎ, বড় দয়ার শরীর । cछgव्यग्नेि ? cछgव्यग्नेि ८क ? গুরুচরণ এ প্রশ্নের আর জবাব দিলেন না, মৌন হইয়া রহিলেন। যতটা বলিয়া ফেলিয়াছিলেন এতটাও তাহার বলা উচিত ছিল না । নবীন তঁহার মনের ভাব বুঝিয়া মৃদু হাসিয়া কহিলেন, যখন নিষেধ আছে তখন কাজ নেই, কিন্তু সংসারের অনেক জিনিষই দেখেছি বলে এইটুকু সাবধান ক’রে দিই ভায়া, তিনি যেই হোন, এত ভাল করতে গিয়ে শেষকালে যেন ফ্যাসাদে না ফেলেন।