পাতা:পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিণীতা s তাহার মুখের ভাব ও কথার ভঙ্গী দেখিয়া ললিত হাসিয়া ফেলিল। একেবারে পাকা বুড়ী, বলিয়া হাসিয়া মালা লইয়া চলিয়া গেল। কবাটের কাছে আসিয়া দেখিল, শেখর একমনে চিঠি লিখিতেছে ; দোর খুলিয়া পিছনে আসিয়া দাড়াইল, তাহাতেও শেখর টের পাইল না। তখন ক্ষণকাল চুপ করিয়া থাকিয় তাহাকে চমকিত করিয়া দিবার অভিপ্ৰায়ে সে মালা ছড়াটা সাবধানে শেখরের মাথা গলাইয়া গলায় ফেলিয়া দিয়াই চৌকির পিছনে বসিয়া পড়িল । শেখর প্রথমটা চমকিয়া উঠিয়া বলিল, এই কালী । পরীক্ষণেই ঘাড় ফিরাইয়া দেখিয়া ভয়ানক গম্ভীর হইয়া বলিল, ও কি করলে ललिङा ! ললিত উঠিয়া দাড়াইয়া শেখরের মুখের ভাবে ঈষৎ শঙ্কিত হইয়া বলিল, কেন, কি ? শেখর পূর্ণমাত্রায় গাম্ভীৰ্য বজায় রাখিয়া বলিল, জান না, কি ? কালীকে জিজ্ঞাসা করে এসো, আজকের রাত্তিরে গলায় মালা পরিয়ে দিলে কি হয় । এখন ললিতা বুঝিল । চক্ষের নিমিষে তাহার সমস্ত মুখ ভীষণ লজ্জায় রাঙা হইয়া উঠিল, সে-না, কক্ষণে না-কক্ষণো না, বলিতে বলিতে ছুটয়া ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল। শেখর ডাকিয়া বলিল, যেয়ে না। ললিতা, শুনে যাও-বিশেষ कiख्त्र अttछ শেখরের ডাক তাহার কানে গেল বটে, কিন্তু শুনিবে কে ? কোথাও সে থামিতে পারিল না, দৌড়িয়া আসিয়া নিজের ঘরের মধ্যে ঢুকিয়া একেবারে চােখ বুজিয়া বিছানায় শুইয়া পড়িল । এই পাঁচ ছয় বৎসর ধরিয়া সে শেখরের ঘনিষ্ঠ সংস্রবে। মানুষ হইয়া উঠিয়াছে, কিন্তু কোনও দিন এমন কথা শোনে নাই। একে