পাতা:পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፵fቛቅoi ব্ৰহ্মজ্ঞানীই হবে, কিছুই ঠাওরাতে পাচ্ছিলুম না। শেষে ভাবলুম, আত্মঘাতী না হ’য়ে ব্ৰহ্মজ্ঞানী হই; তাই ব্ৰহ্মজ্ঞানীই হ’য়ে গেলুম। গুরুচরণ চোখ মুহিতে মুছিতে বাহির হইয়া গেল। নবীন চীৎকার করিয়া বলিলেন-বেশ করোচ। নিজের গলায় দড়ি না দিতে পেরে জাতের গলায় দড়ি টাঙ্গিয়ে দিয়েছ। আচ্ছা যাও, আর আমাদের সামনে কালামুখ বা’র ক’রো না, এখন র্যােরা-সব মন্ত্রী হয়েচেন তঁদের সঙ্গেই থাকগো-মেয়েদের হাড়ী-মুচির ঘরে দাও গে যাও, বলিয়া বিদায় করিয়া দিয়া তিনি মুখ ফিরাইয়া বসিলেন। নবীন রাগে অভিমানে কি যে করিবেন প্রথমটা কিছুই ভাবিয়া পাইলেন না। গুরুচরণ হাতের ভিতর হইতে সম্পূর্ণ বাহির হইয়া BBDBS DBBD EDS DDD BD DBBBS S DBBDBDBBD DDDYuDD নিৰ্ম্মফল আক্ৰোশে ছট্‌ফটা করিয়া। আপাততঃ জব্দ করিবার আর কোন ফন্দি খুজিয়া না পাইয়া, সেই দিনই মিস্ত্রী ডাকিয়া ছাদের যাতায়াতের পথটা বন্ধ করিয়া একটা মস্ত প্ৰাচীর তুলিয়া দিলেন। এই সংবাদ বহুদূর-প্রবাসে বসিয়া ভুবনেশ্বরী শেখরের মুখে শুনিয়া কঁাদিয়া ফেলিলেন,-শেখর, এ মাতিবুদ্ধি কে দিল তাকে ? মাতিবুদ্ধি কে দিয়াছিল। শেখর তাহা নিশ্চয় অনুমান করিয়াছিল। সে উল্লেখ না করিয়া বলিল, কিন্তু মা, দু'দিন পরে তোমরাই ত ভঁাকে একঘরে ক’রে রাখতে । এতগুলি মেয়ের বিয়ে তিনি কি ক’রে দিতেন, আমি ত ভেবে পাইনে । ভুবনেশ্বরী ঘােড় নাড়িয়া বলিলেন, কিছুই আটকে থাকে না শেখর। আর সেজন্য আগে থেকে জাত দিতে হ’লে অনেককেই | দিতে হয়। ভগবান যাদের সংসারে পাঠিয়েছেন, তিনিই তাদের ভার নিতেন । শেখর চুপ করিয়া রহিল। ভুবনেশ্বরী চোখ মুছিয়া বলিলেন,