পাতা:পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্মিণীত R রাত্রে শেখরের আহারের সময় মা উপস্থিত ছিলেন, দুই-একটা কথার পর বলিলেন, ওদের গিরীনবাবুর সঙ্গেই ললিতার বিয়ে দেবার কথাবাৰ্ত্তা হচ্ছে। আমি তা আগেই বুঝেছিলুম। শেখর মুখ না। তুলিয়াই জিজ্ঞাসা করিল, কে বললে ? ওর মামী। দুপুরবেলা কৰ্ত্ত ঘুমোলে আমি নিজেই গিয়ে দেখা ক’রে এসেছি। সেই অবধি কেঁদে কেঁদে চোখ-মুখ ফুলিয়ে ফেললে । ক্ষণকাল মৌন থাকিয় তিনি নিজের চোখ দুটি আঁচলে মুছিয়া ফেলিয়া বলিলেন, কপাল, শেখর কপাল। এই কপালের লেখা কেউ খণ্ডাতে পারে না-কার আর দোষ দিই বল! যাই হোক, গিরীন ছেলেটি ভাল, সঙ্গতিও আছে, ললিতার কষ্ট হবে না-বলিয়া চুপ করিলেন। প্ৰত্যুত্তরে শেখর কোন কথাই বলিল না-মুখ নীচু করিয়৷ খাবারগুলা হাত দিয়া নাড়া-চাড়া করিতে লাগিল। খানিক পরে মা উঠিয়া গেলে, সেও উঠিয়া গিয়া হাত-মুখ ধুইয়া বিছানায় শুইয়া। •ख्रिल । পরদিন সন্ধ্যার পর একটুখানি ঘুরিয়া আসিবার জন্য সে পথে বাহির হইয়াছিল। তখন গুরুচরণের বাহিরের ঘরে প্রাত্যহিক চাপানের সভা বসিয়াছিল এবং যথেষ্ট উৎসাহের সহিত হাসি এবং কথাবাৰ্ত্তা চলিতেছিল। তথাকার কোলাহল শেখরের কানে যাইবামাত্ৰ সে একবার স্থির হইয়া কি ভাবিয়া লইল, তারপর ধীরে ধীরে বাড়ী ঢুকিয়া সেই শব্দ অনুসরণ করিয়া গুরুচরণের বাহিরের ঘরে আসিয়া দাড়াইল। তৎক্ষণাৎ কলরব থামিয়া গেল এবং তাহার মুখের দিকে চাহিয়া সকলেরই মুখের ভাব পরিবৰ্ত্তিত হইয়া গেল। শেখর ফিরিয়া আসিয়াছিল, এ সংবাদ ললিতা ছাড়া আর কেহ জানিত না । আজ গিরীন্দ্র এবং আরও একজন ভদ্রলোক উপস্থিত