পাতা:পরিণীতা - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ¢ *भैिङा হোক, জেনে-শুনে কেউ পরের বিবাহিতা স্ত্রীকে বিবাহ করে না,-যাক, গুরুজনের সম্বন্ধে ও-সব আলোচনা আমি করতে চাইনে, বলিয়া সে আর একবার হাসিয়া, উঠিয়া দাড়াইয়া বলিল, আজ যাই, আবার অন্য সময়ে দেখা হবে; বলিয়া নমস্কার কবিয়া বাহির হইয়া গেল । গিরীনকে শেখর চিরদিনই মনে মনে বিদ্বেষ করিয়াছে, এইবারে সেই বিদ্বেষ নিবিড় ঘূণায় পৰ্য্যবসিত হইয়াছিল, কিন্তু আজ সে চলিয়া যাইবামাত্রই শেখর উঠিয়া আসিয়া ভূমিতলে বারংবার মাথা ঠেকাইয়া এই অপরিচিত ব্ৰাহ্ম-যুবকটির উদ্দেশে প্ৰণাম করিতে লাগিল । মানুষ নিঃশব্দে যে কত বড় স্বাৰ্থত্যাগ করিতে পারে, হাসিমুখে কি কঠোর প্ৰতিশ্রুতি পালন করিতে পারে, তাহা আজি সে প্ৰথম দেখিল । অপরাহ্নবেলায় ভুবনেশ্বরী নিজের ঘরের মেঝেয় বসিয়া ললিতার সাহায্যে নূতন বস্ত্রের রাশি থাক দিয়া সাজাইয়া রাখিতেছিলেন, শেখর ঘরে ঢুকিয়া মায়ের শয্যার উপর গিয়া বসিল, আজ সে ললিতাকে দেখিয়া ব্যস্ত হইয়া পলাইল না। মা চাহিয়া দেখিয়া বলিলেন, কি রে ? শেখর জবাব দিল না, চুপ করিয়া থাক দেওয়া দেখিতে লাগিল খানিক পরে বলিল, ও কি হচ্ছে মা ? মা বলিলেন, নতুন কাপড় কাকে কি রকম দিতে হবে, হিসেব ক’রে দেখছি।--বোধ করি, আরও কিনতে হবে, না মা ? व्लब्लिङा घाएछु नाछिशा माशू व्लि । শেখর হাসিমুখে কহিল, আর যদি বিয়ে না করি মা ? ভুবনেশ্বরী হাসিলেন, বলিলেন, তা’ তুমি পাের, তোমার গুণে ঘাট নেই।