পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার । సి) হইতে আকর্ষণ করিয়া ধরার ধুলায় লুটাইয়া দিয়াছেন, অন্তজগৎ হইতে বহির্জগতে টানিয়া আনিয়াছেন, দৃঢ়চিত্ততাকে শিথিল করিয়া দিয়াছেন, অন্তঃকরণের প্রখর তেজঃ মলিন ছায়ায় ঢাকিয়া ফেলিয়াছে। যখনই আমোদ প্রমোদে লোকের চিত্ত প্রধাবিত হয়, তখনই মনের বলবীৰ্য্য ও শাস্তির অপচয় হইতে আরম্ভ হয়, তখনই জাতীয় অবনতি ও অধঃপতনের সূত্রপাত হয়। দেশের মধ্যে রঙ্গরসের যত আধিক্য হইবে, ততই দেশের হৃদয় দুৰ্ব্বল হইয়.যাইবে। যাহার যত পরিমাণে নাটক নভেল পড়িয় থাকে, তাহারা তত পরিমাণে গণিত বা দৰ্শন-শাস্ত্রাদি পড়িতে অসমর্থ হইয় পড়ে। প্রমোদ-কাননে বিচরণ করিতে করিতে রাজার বলবীৰ্য্য নিম্প ভ হইয় আসে। রস-বিলাসে, কেলি-কৌতুকে মনঃ প্রধাবিত হইলে প্রহ্মচর্য্যের ব্রহ্মতেজঃ মলিন হইয় পড়ে। সেইরূপ সাহিত্য-সমাজের মহাকবি কালিদাস আদির মনোমোহিনী কবিতাশক্তি অন্তর্জগতের অভ্যন্তর-নিবাসী তেজোরাশিকে বহির্জগতের কুস্বম-শয্যায় শো ওয়াইয়া নিদ্রিত করিযাছে, ও স্বপ্নবিলাসের মনোহারিণী শোভায় বিমোহিত করিয়া রাখিয়াছে। মহাকবিগণের বর্ণনার ছটায় জীবের প্রস্তুপ্ত আমোদ-প্রমোদ-রস-বিলাস-বৃত্তি জাগ্রত হইয়া উঠিয়াছে, ভোগের ভাগ অতি মাত্রায় বাড়িয়াছে, ভিতরের তেজঃ-হ্রাস হইয়। গিয়াছে। ভারতাকাশে যখন এষ্টরূপে কে ক-কদম্ব কুটিয়া উঠিল, তাহারই তীব্র দুর্গন্ধে মানব মনে মলিনত৷ জন্মিতে লাগিল। ক্রমে দুৰ্জ্জনক্ষতা, বিষয়াসক্তি, ভোগ-বিলাস, সঙ্গে সঙ্গে স্বার্থপরতা, দ্বেষ, হিংসা আদি ব্যাদি