পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের আর্য্যভাব । ՖՖԳ

  • প্রাতরুথায় সায়tছুং সায়াহাৎ প্রতিরস্ততঃ যৎ করোমি জগন্নাতন্তদেৰ তৰ পূজনম্।” প্রাতরুথানপূর্বক সন্ধ্যাকাল পর্য্যন্ত, ও সন্ধ্যা হইতে প্রাতঃকাল পর্য্যন্ত, আমি যাহা কিছু করিয়া থাকি, হে জগন্মাতঃ ! সে সমূদয়ই তোমার পূজা ভিন্ন আর কিছুই নহে। এরূপ ভগবদ্ভাবে আত্মসমর্পণপূর্বক প্রণতি সহ স্তুতি করিতে ভারতীয় আধ্যমহাপুরুষগণ ভিন্ন আর কে পারিয়াছে ? শরীর রক্ষা, পরিবার-পরিপালন, সমাজ-সংরক্ষণ প্রভূতি সকল কাৰ্য্যই আর্য্যজাতির ধৰ্ম্মভাব-প্রস্থত । ভূতভাবন ভগবানের প্রীত্যর্থেই আৰ্য্যজাতির তাবৎ-কাৰ্য্যই অনুষ্ঠিত হইয়। থাকে। এই জন্যই আর্য্যকণ্ঠ গাহিয়াছিল—

“প্রত্যক্ষধর্শ্বে ভগবান যস্য তুষ্টে ষ্টি কৰ্ম্মভিঃ। সফলং তস্য জন্মাহং মন্যে সদ্ধৰ্ম্মচারিণঃ " ধৰ্ম্মসাক্ষী ভগবান যাহার কৰ্ম্মে পরিতুষ্ট, সেই ধৰ্ম্মচারী ব্যক্তিরই জন্ম সফল। ধৰ্ম্মলাভ করিতে হইলে যদি নানা প্রকার হানি, গ্লানি, ও ক্লেশ স্বীকার করিতে হয়, তার্ষ্যজাতি তাহাতে কখনও বিমুখ নহেন। ধৰ্ম্মের জন্য র্তাহারা সমাজ ত্যাগ করিয়াছেন, পারিবারিক স্বখৈশ্বৰ্য্য-সম্ভোগে জলাঞ্জলি দিয়াছেন, ইচ্ছাপূর্বক বিষয়, বিলাস, ও বাসনা বিসর্জন দিয়াছেন, সংসারের সমস্ত সুখকে তৃণবত,চ্ছ করিয়াছেন, কঠোর ব্রতনিয়মের অনুষ্ঠানে দেহকে বিশুষ্ক, এমন কি, সময়ে সময়ে ধৰ্ম্মের জন্য মৃত্যুকেও আনন্দপূর্বক আলিঙ্গন করিয়াছেন । ধৰ্ম্ম ভারতের পরম আদরের বস্তু। ধৰ্ম্মামুরাগে রঞ্জিত হইয়া আর্য্যজাতির জয়-পতাকা অষ্টকুলাচলের