পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের আর্য্যভাব। ՏՋ Ֆ সত্যতা দ্বারা পবিত্র করিয়া বচন প্রয়োগ করিবে, যাহাতে অন্তরাত্মা পরিতুষ্ট থাকেন, তদ্রুপ আচরণ করিবে ; যে দিন আমরা এই সারগর্ভ হিতোপদেশ জীৰনের কর্তব্য কার্য্যে পরিণত করিতে থাকিব, “আপছন্মার্গগমনে কাৰ্য্যকালাত্যয়ে চ। কল্যাণবচনং ব্রুয়াদপৃষ্টোইপি হিতং নরঃ ॥” কেহ বিপদে পড়িলে, স্বপথ পরিহারপূর্বক কেহ অপথ বা কুপথে গমনের উপক্রম করিলে, কার্ধ্যকাল অতীত হয়, এরূপ দেখিলে, সুজন ব্যক্তি জিজ্ঞাসিত না হইয়া ও লোক সকলকে হিতকর পরামর্শ দান করিবেন ; যে দিন আমরা এই সাধুবাক্য নিজ নিজ অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করিতে পারিব, “রিলেশয়নং বাসং ত্যদেখ প্রাজ্ঞ: পরন্ত্রিয়া । অযুক্তভাষণঞ্চৈব স্ক্রিয়. শৌৰ্য্যং ন দর্শয়েৎ " অসম্পৰ্কীয় পরদার সহ একত্রে নির্জনে শয়ন বা বাস করিবে না, কোন স্ত্রীকে কখনও শ্র তিকটু বা কুৎসিত ভাষা ব্যবহার, ও বীরত্ব প্রদর্শন ক:িবে না ; এই স্থনীতিপুর্ণ উপদেশট যে দিন দেখিব প্রতি গৃহে গৃহে আচরিত হইতেছে, সেই দিন বুঝিব, আমাদিগের হৃদয়ে আর্য্যভাবের প্রতিবিম্ব পতিত হইয়াছে। "ইন্ধন্ত্যং পরিহাসঞ্চ তর্জনং বহুভাষণম্। পি্রারগ্ৰে ন কৃঞ্চীত যদীচ্ছেদা নোহিতম্ ॥" আজকাল লোকের সামান্যমাত্র গুণ থাকিলেই সেই অভিমানে অন্যকে তৃণবং তুচ্ছ মনে করিয়া থাকে, কিন্তু পিতা বা তাদৃশ সম্মান-ভজন গুরুগণের সম্মুখে ঔদ্ধত্য