পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে উৎসব। ১৬৩ করিতে থাকে। সেইরূপ অনাদ্য। প্রকৃতি-রূপিণী আদিগঙ্গার সহিত যতদিন জীব-প্রকৃতিরূপ নহরের মুখ সম্মিলিত থাকিবে, যতদিন এই সঙ্গমদ্বার ময়লামাটি পড়িয়া বন্ধ হইয়া না যাইবে, ততদিন অনাদ্য প্রকৃতির নিৰ্ম্মল শক্তিধারা জীব-প্রকৃতিতে প্রবাহিত হইবে । জীব-প্রকৃতি যখন এইরূপ ভাগবতী প্রকৃতি লাভ করিবে, তখনই তাহার সিদ্ধি, তখনই তাহার মুক্তি, তখনই তাহার পরমানন্দ। প্রাকৃতিকী ন চৈতন্যস্বরূপকে আশ্রয় করিয়ু লীলা করিয়া . , গকে লাভ করিতে হইলে প্রকৃতির যথাযথ উপ.' ; শ্যক। প্রকৃতির স্রোন্ডের যে অবস্থায় যে ময়ল। ম৷৮ ভাসিয়া আদিবার সম্ভব, তাহা তত্ত্বজ্ঞ যোগীন্দ্র, মুনীন্দ্রগণ তপোবলে বিশেষরূপে বিদিত ছিলেন, তাই কোন কৌশল করিলে, কোন সময়ে কোন উপাসনারূপ উপায় অবলম্বন করিলে, মানব প্রকৃতির দ্বারে কোন ময়লামাটি প্রবেশ করিতে পারবে না, তাহ বিদিত হইয়াছিলেন, এবং তজন্যই মাসে মাসে পর্বোৎসব-পদ্ধতির ব্যবস্থা করিয়াছেন । অবিদ্যার অধিকার হইতে যখন মানব ব্রহ্মবিদ্যার রাজ্যে বাস করিতে যায়, সেই মহাবিষুব সংক্রান্তির দিনে, সেই অতীত ও ভবিষ্যতের শুভ সাক্ষাৎকারের দিনে চড়কপূজার মহামহোৎসব হইয়া থাকে। মায়াচক্রে বিঘুর্ণিত জীব চড়কের অশেষ পাক খাইয়া আনন্দ-স্বরূপের দর্শন করিতে উদ্যত হয় । নাক ফুড়িয়া, পিঠ ফুড়িয়া, জিহল। ছেদ করিয়া, জলে ডুবিয়া, অগ্নি-ক্রীড়া করিয়া, অর্থাং হঠপূৰ্ব্বক নানা শারীরিক ক্লেশ সহ করিয়া, যাহার জন্য জগতে