পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে উৎসব | >や○。

বড়াইবার জন্য ভক্তের নামে আপনি নাম ধারণ করিয়াছেন। ভগীরথের নাম গাঙ্গেয় না দিয়া ভক্ত ভগীরথের মামে আপনার নাম ভাগীরথী বলিয়। প্রসিদ্ধ করিয়াছেন । মা ছেলের নামেই, যথা ‘হরির মা’, ‘গোপালের মা’, এইরূপে প্রসিদ্ধ হইতে ভালবাসেন ৷ জন্মজন্মান্তরের ত্ৰিতাপজ্বালায় দগ্ধ হইয়া আসিয়াছে জীব, তাই নিদারুণ তাপে তপ্ত বৈশাখে স্বশীতল হইবার জন্য, মনঃপ্রাণ জুড়াইবার জন্য, ভগবতী ভাগীরথীর মহাপূজার মহামহোৎসব। মা গঙ্গ সুশীতলতার নিঝরিণী। তাপত্রয়ে কাতর ক্লাব তাহার চরণে শরণাগত হও । বৈশাখে গঙ্গার পূজা হইয়াগেল। জৈষ্ঠমাসে স্নান-সুখেৰ মহামহোৎসব—জ্যৈষ্ঠে জগন্নাথের স্নানযাত্রা । জগন্নাথ আত্মণস্বরূপ, এই মাসে কলসে কলসে তাহার শিরে অমৃত কুণ্ডের জলধারা ঢালিতে হয় ; জন্মজন্মান্তরের নামা আবরণ-বিক্ষেপের মলিনতায়, আবর্জনায় আত্মা অবগুষ্ঠিত ছিলেন ; আজ শুভলগ্নে, শুভক্ষণে র্তাহাকে বিধৌত ও পরিমার্জিত করিয়া লইতে হইবে ; ময়লামাটি ধুইয়। গেলেই আত্মার স্বচ্ছ, সুন্দর তেজ পরিলক্ষিত হইয়া থাকে। জগন্নাথের স্নানজল-পানে মনঃপ্রাণ জুড়াইয়া যায়, আশাপিপাসা বিনিবৃত্ত হয়। এই স্নানযাত্রার উৎসব হইয়া গেলেই জগন্নাথ-দেবের রথযাত্র । স্নানের জলে ধৌত হইয়া জ্ঞানের চক্ষু নিৰ্ম্মল হইয়াছে যাহার, তিনিই জগন্নাথের রথযাত্রারূপ মহামহোৎসবে আনন্দিত হইয়া থাকেন । জন্মজন্মান্তরের জ্বালা-যন্ত্রণা নিবারণ করিবার জন্য রথস্থ জগন্নাথ দেবকে দর্শন করাই একমাত্র উপায়।