পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.2 পরিব্রাজকের বক্তৃতা। سbرا نه হইয়া থাকেন, ইহা শ্রুতি-সিদ্ধান্ত। জ্ঞানের স্নানে সর্বেল হইয়া দিব্যকাস্তি কলেবরে রথে প্রকাশিত হইলেন যিনি, আজ তিনিই যে প্রীতির সামগ্রী, আজ তিনিই যে অঞ্চলের নিধি, আজ তিনিই যে সোহাগের সম্পত্তি, কাঙ্গালের জীবনসৰ্ব্বস্ব, তাই দেখাইবার জন্য সেই আত্মণস্বরূপ মা যশোদার কোলে খেলিতে আসিলেন। সাধের সামগ্রীকে বুকে রাখিয়া তাপিত প্রাণ জুড়াইবার জন্য জন্মাষ্টমীর নন্দোৎসব, ভক্তগণের মহামহোৎসব। আজ কৃষ্ণচন্দ্রের পূর্ণ বিকাশে জীবের ত্রিপাতত্ত্বালা মিটিয়া যায়। বর্ষার বারি-ধারায় প্রকৃতির সমস্ত ময়লামাটি ধুইয়া গেলে তরু, লতা, গুল্ম প্রভূতি সমস্ত যেন স্বসজ্জিত হইয়। উৎসবে প্রবৃত্ত হইবার জন্য প্রস্তুত হয় ; সমস্ত বৃক্ষলতা কত পত্রপল্লব-স্তবক লইয়া কাহাকে যেন দেখিবার জন্য উদ্‌গ্ৰীব ও উপহারের গুরুভারে অবনতমস্তক হয় ; শারদীয় নিৰ্ম্মল নভোমণ্ডলে উজ্জ্বল নিশাকর ও তারকা-স্তবক ফুট ফুট করিয়া ফুটিয়া চারুচন্দ্রিক বিতরণ করে ; বনের মাঝে কুস্থমরাশি হাসিহাসি মুখে স্বরভির ছটা বিলাইতে থাকে; নিশির শিশির-রাশির বিন্দু বিন্দু বৃষ্টি হইয়। তৃণমওলময় ভূমিতল সমুজ্জ্বল করিয়া তুলে । আজ দশভুজ মাকে দেখিবার জন্য সমস্ত লোক হাসিতে ভাসিতে থাকে । বালগোপালের কমনীয় কান্তি দর্শন করিয়া শরৎকালে প্রকৃতির বিশুদ্ধ মাতৃভাবের রাজ্যে জীব প্রবেশ করিয়া থাকে । সাধন-সিদ্ধির সুগম পথ দেখাইবার জন্যই মা আমার মহিষমর্দিনীরূপে দশ হস্তে দশ দিক অধিকার করিয়া ভক্ত-হৃদয়ে দেখা দিলেন। অভিমানরূপ অতি দুর্জয় দৈত্যকে সংজল্প