পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb-9 পরিব্রাজকের বক্তৃত। দিকে দৃষ্টিপাত করিলে পদার্থ-তত্ত্বের নিরূপণের আশা একেবারে ঘুচিয়া যায়। পৃথিব্যাদি গ্রহনক্ষত্রের বিঘুর্ণন-গতি অতি দ্রুত হইলেও মনুষ্য তাহার সীমা করিতে সমর্থ হয় ; কিন্তু প্রকৃতির যে অদৃশ্য অতি বেগবতী শক্তির দ্বারা পদার্থ রাশি পরিণতির দিকে ছুটিতেছে, তাহার গতি-সীমা নিরূপণ করা মনুষ্য-বুদ্ধির অনায়ত্ত। পদার্থ মাত্রেরই মুহুমুহুঃ পরিণাম হইতেছে। মুহুর্মুহুঃ পদার্থে বিকার ও বৈষম্য আসিয়া উপস্থিত হইতেছে । অনবরত সংযোগ, বিয়োগ, ক্ষয়, অপচয় আদি অবস্থ-বিকার দ্বারা পদার্থ-পুঞ্জ সৰ্ব্বদাই নূতন আকার ধারণ করিতেছে . প্রাকৃতিক কোন বস্তুই ক্ষণাৰ্দ্ধাদপি ক্ষণকালও এক অবস্থায় স্থির থাকিতে সমর্থ নহে। পরিণাম-চক্রের প্রবল গতিতে উহ। যে নিমেষ মাত্রে কত শত অবস্থা অতিক্রম করিয়া কোন স্থানে গিয়া দণ্ডায়মান হয়, তাহা মনুষ্য-বুদ্ধি কখনই কল্পনা করিতেও সমর্থ নয়। মানব চক্ষু দেখিতে দেখিতে, পদার্থবিচারে প্রবৃত্ত হইতে না হইতে, পদার্থের কত শত অবস্থা-বিপর্ধ্যয় হইয় গেল, তাহা গণনা করিতে পারা যায় না। মানব যে অবস্থাটীকে ধরিয়া বিচার করিবে মনে করিতেছে, তাহ ধরিতে না ধরিতে, অধীর ধারায় বেগ-রাশি সেই অবস্থাকে কোথায় লইয়া গিয়৷ ফেলিল, মন, বুদ্ধি কখনও তাহার পশ্চাতে গিয়া ধরিতে পারে না । এই যাহা ছিল দেখিলাম, দেখিতে দেখিতে অমনি তাহ অবস্থান্তরিত হইয়াগেল। যাহাই দেখিতে যাই, তাহাই চলিয়া যায়, যাহাকে ধরিতে যাই, সেই পলায়ন করে। মুতরাং কোন বস্তুই দেখিবার মত দেখা মনুষ্যের ভাগ্যে