পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSo পরিব্রাজকের বক্তৃত। যাহারা দেখিবার মত দেখিতে জানেন,তাহাদিগের কথা আজ আমার আলোচ্য নহে। যাহাদের দেখিবার মত চক্ষু নাই, দেখাইলে ও যাহারা দেখিতে পায় না, দেখিতে আসিয়া ও যাহারা দেখিতে পারিল না, সেই অন্ধতমসাচ্ছন্ন অঙ্গগণেরই অবস্থা আজ আমরা চিন্তা করিব । যাহার। চক্ষু-বিহীন, তাহারা যদি অন্ধ হয়, তবে আমরা সকলেই অন্ধ। শাস্ত্রে কথিত আছে— "সংসঙ্গশচ বিবেকশচ নিৰ্ম্মলং নয়নদ্বয়ং । যস্য নাস্তি নরঃ সোহন্ধঃ কথং নাপদমাৰ্গ: ॥* সৎসঙ্গ ও বিবেক, এই দুইট'মানবের নিৰ্ম্মল চক্ষু। যাহার এই দুইটা চক্ষু নাই, সে ব্যক্তি অন্ধ ; সে কেন না কুপথে গমন করিবে ? যাহা সুপথ, অন্ধ তাহ৷ স্বয়ং দেখিতে পায় না, সুতরাং কুপথে যা ওয়া তাহার স্বভাব-সিদ্ধ । সংসঙ্গ ও বিবেক, এই দুইটার মধ্যে একটা চক্ষু ও যাহার থাকে, সেও পথ দেখিতে পায় ; কিন্তু যাহার একটা চক্ষু ও নাই, সে স্বপথে যাইবে কিরূপে ? বিবেকলাভ করা ত জন্ম-জন্মান্তরীণ স্বকৃতি-সাধ্য । চেষ্ট৷ করিলে সৎসঙ্গ স্থলভ হইতে পারে । সংসঙ্গের দ্বারা জীব অনায়াসেই আবার বিবেকলাভ করিয়া থাকে । কলির কলুষিত জীব আমরা, সংসঙ্গ ও আমাদের পক্ষে দুর্ঘট হইয়া উঠিয়াছে। সাধুর অভাব হইয়াছে বলিয়। যে সাধুসঙ্গ হয় না, তাহী নহে ; সাধু শত শত থাকিলেও আমাদের চক্ষুর দোষে আমরা যে সাধু দেখিতে পাই না, তাহার উপায় কি ? আমার মনের দোষে, আমার চক্ষুর