পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধের যষ্টি। Հծ 9 যোনি-জনিত, চিরসঞ্চিত, পুঞ্জীকৃত, পাপতাপ-রাশি, অগ্নিশিখা-পৃষ্ট তুল-রাশির ন্যায়, ক্ষণাৰ্দ্ধ মধ্যে ভস্মীভূত হইয়া যায়। রাত্রিকালে ঘরের মধ্যে নিবিড় অন্ধকার জমিলে, তাহা দূর করিবার জন্য যদি প্রকাও প্রকাও স্কুলাতিস্থূলকায় হস্তীযূথ নিযুক্ত করা যায়, তথাচ তাহার একাংশ ও দূরীভূত হয় না ; কিন্তু একটা দীপ-শলাকা জ্বালিলেই দেখিতে পাইবে যে, তাহার স্নদীপ্তি-প্রকাশে ঘরের অন্ধকার-স্ত,প কোথায় পলায়ন করিয়াছে। দীপশিখার আকার ক্ষুদ্র হইলেও তাহার' প্রকাশ-শক্তি তীব্র, তেজস্বিনী ; তাই তাঁহার প্রভাবে অন্ধকার-জাল ছিন্নভিন্ন হইয়া গুেল । সেইরূপ জীবের জিহায় হরিনামরূপ দীপ-শিখার প্রকাশ হুইলেই , পাপতাপ ও বিস্তুবিপত্তিরূপ অন্ধকার আপনিই উড়িয়া যাইবে । হরিনামের জ্বলন্ত অগ্নি-শিখায় পাপতাপ পুড়িয়া সব ছারখার হইয়। যাইবে। পাপের বিশাল কায়া ও হরিনামের ক্ষুদ্র অবয়ব দেখিয়া নামের পাপ-নাশিনী শক্তির প্রতি আমাদের সন্দেহ হইয়া থাকে । আমরা স্কুলবুদ্ধি, তাই স্কুল উপায়ই ভালবাসি । স্কুল হইতেও হুক্ষের যে অধিক শক্তি, তাহা স্থূলবুদ্ধি আমরা সৰ্ব্বদা বিচার করিয়া উঠিতে পারি না ; তাই হরিনামের অপরিমেয় শক্তির প্রতি সহসা বিশ্বাস আমাদের হয় না । আয়ুৰ্ব্বেদীয় স্থচিকাভরণ ও ‘হোমিওপ্যাথিক গ্লোবিউল’ ( বটিক ) ক্ষুদ্র হইলে ও তাহাতে যে মহারোগ-নিবারণের অমোঘ শক্তি আছে, তাহা আমরা সকল সময়ে বিশ্বাস