পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২ পরিব্রাজকের বক্তৃত। কোথাকার কি কুবাতাস লাগিয়া, অকস্মাৎ সেই ভারতবর্ষ দিগ্বিদিক-জ্ঞানশূন্য—হতচেতন—মূচ্ছিত হইয়া পড়িল । অনুসন্ধান দ্বার প্রমাণিত হইয়াছে যে, এক হইতে দশ পৰ্যন্ত গণনা করিতে, এবং এক এক শূন্য যোগে দশ গুণ সংখ্যা বৃদ্ধি করিতে ভারতবর্ষেই প্রথম ব্যবস্থা হয়। গণিত, বীজগণিত আদি শাস্ত্র, ভারত হইতে আরবে, তথা হইতে পারস্য, গ্রীস্ প্রভৃতিতে, এবং তথা হইতে পৃথিবীর দিগিাগন্তে প্রচারিত হইয়াছে । চিকিৎসা-বিদ্যাতেও ভারতবর্ষ আদি গুরু। অশ্বিনীকুমার, ধনূন্তরি, স্বশ্ৰুত প্রভৃতি অদ্বিতীয় পুরুষগণ আয়ুৰ্ব্বেদ- , বিদ্যবিশারদ ছিলেন । পদার্থবিজ্ঞানে তাহার বিপুল উন্নতি সাধন করিয়াছিলেন। অস্ত্র-চিকিৎসা সম্বন্ধে স্বত্রত যত অগ্রসর হইয়াছিলেন, ইংরাজী অস্ত্র-চিকিৎসা সম্ভবতঃ এখনও তত দূর যাইতে পারে নাই। ডাক্তার রয়েলি বিশেষ বিচার করিয়া দেখিয়াছেন যে, ভারতীয় শারীর-বিদ্যা-বিশারদ অস্ত্র-চিকিৎসকগণ ১২৭ খানি অস্ত্র ব্যবহার করিতেন । আমরা নিজ গৃহের এই বিদ্যা ক্রমশঃ হারাইতে বসিয়াছি। রাজকীয় চিকিৎসার বিকট চীৎকারে এই উৎকৃষ্ট বিদ্য মহা মুচ্ছদিশ। প্রাপ্ত হইয়াছে। রাজার প্রতিকুল দৃষ্টিতে স্বদেশবাসিগণের অনুরাগ ও শুশ্ৰুষার অভাবে এই বিদ্যার পুনর্জীবন লাভের বড় আশঙ্কা বোধ হইতেছে। বিদ্যাবান সদ্বৈদ্যগণের স্থূপীদৃষ্টি থাকিলে, আমাদিগকে নিতান্ত নিরাশ হইতে হইবে না। আর্ধ্যজাতি সঙ্গীত-বিদ্যার উন্নতি সাধনেও যথেষ্ট যত্ব করিয়াছিলেন। স্বর-শক্তির গুহ্য তত্ত্ব আর্ধ্যজাতি যেমন