পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিব্রাজকের বক্তৃতা। سOb নিনাদের সহিত দেবদত্ত শঙ্খধ্বনিতে ত্রিলোক পুলকিত ও বৈরিবর্গের হৃদয় বিকম্পিত করিয়াছিলেন, সেই লীলাভূমি—কুরুক্ষেত্রে শ্মশান-দৃশ্য ব্যতীত আর কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না । শ্ৰীমদ্ভাগবত পাঠ করিয়া হরিবংশ, বিষ্ণুপুরাণ, ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তাদির গর্ভানুসন্ধান করিয়া ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের লীলা-ভূমি মথুরা, বৃন্দারণ্য প্রভৃতি দর্শন করিতে গেলাম, সে লালিত্য, সে মাধুরী, সে প্রেম, সে ব্ৰজপুরী আর দেখিতে পাইলাম না। কাশীখও পড়িয়া, অগস্ত্য মুনির আশ্চৰ্য্য কথা শ্রবণ করিয়া, অবিমুক্ত বারাণসীপুরদর্শনে গমন করিলাম, যাহা দেখিবার জন্য গেলাম, তাহার নাম পাইলাম, স্থান পাইলাম, ঠাট মাত্র দেখিলাম, দেহ পাইলাম, কিন্তু প্রাণ অাছে বলিয়া বুঝিতে পারিলাম না। মহাদেবের মহা শ্মশান দেখিলাম, কিন্তু আনন্দ-কাননে নিরানন্দের ছায়। ছড়াইয়া পড়িয়াছে। যে কাশী স্মরণ মাত্রে যম-ভয় বিদূরিত হইয়া থাকে, আজ সেই নিৰ্ম্মল পুীতে যমকিঙ্কর সদৃশ ভয়ঙ্কর দুষ্ট দুরাত্মা মণ্ডলীর প্রচুর প্রবেশ হইল কেন ? ভারতের যেখানে যাই, তাহার কোন স্থানেই পূৰ্ব্ববং কিছুই দেখিতে পাই না। যাহা ছিল, তাহ কোথায় লুকাইল । আর তাহ দেখিতে পাইব কি না, তাহাই বা কে জানে । উপকথায় শুনিয়াছিলাম, রাক্ষসী রাণী রাজার সপ্তপুরী গ্রাস করিয়া সমস্ত শূন্যময় করিয়াছে ; আছে কেবুলু-একটা রাজকন্যা, তাহাকেও ঘুম পাড়াইয় অচেতন করিয়া সেই রাক্ষসী বাহিরে বিচরণ করিতে যায়। বিলাস-বুদ্ধি-রূপিণী রাক্ষসী সোণার ভারতের সপ্তপুরী প্রায় শূন্য করিয়াছে ;