পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের মুৰ্চ্ছাভঙ্গ । లిసె আছে কেবল সেই অর্ধ্যেগৌরব-বুদ্ধি-রূপিণী রাজকন্যা, সেও আবার পাশ্চাত্য সভ্যতারূপ কুহক-বিদ্যায় ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। যদি কেহ এই রাজকন্যাকে জাগাইতে ও বিবাহ করিতে পারে, তবেই ঐ রাক্ষসীর সোণার কাটিতে সপ্তপুরী পুনঃ পুৰ্ব্ববং সমৃদ্ধিসম্পন্ন হইবে, রাক্ষসী দেশ ছাড়িয় পলায়ন করিবে। কে আছ, সোণার ভারতের সোহাগের সন্তান । একবার সমস্ত কুহক-জাল ভেদ করিয়া দৈবীশক্তিবলে মহামন্ত্রকে চেতন করিয়া, এই প্রন্থপ্ত রাজকন্যার অঘোর নিদ্রা—মহামুচ্ছ ভাঙ্গিয় দাও। রাজনন্দিনী জাগিয়া উঠুক, সপ্তপুরী পুনরুথিত হউক। তাহা হইলে সিদ্ধি, সমৃদ্ধি, সৌভাগ্য ভারত-গগনে তারকা-স্তবকের ন্যায় ফুটিয়া উঠিবে। আর্য্যজাতির—আর্য্যপ্রকৃতির বিজয়-ভেরী-নিনাদে প্রস্থপ্ত জগৎ, পুনর্জাগ্রত হুইবে । • প্রচও মার্তও প্রখর কিরণ-মালা বর্ষণ ও জগৎকে সত্তপ্ত করিয়া যখন অস্তাচলচুড়ায় বিশ্রাম লাভ করেন, তখন গৃহে গৃহে প্রদীপ-রাশি প্রজ্বলিত হয়, লতায় পাতায় ও তৃণ-শয্যায় খদ্যোতকুল দীপ্তি দান করিতে থাকে, নক্ষত্ৰ-মালা আকাশের দিগ্নিভাগ আলোকিত করিতে চেষ্টা করে। এইরূপ ত্রিলোকবন্দিত ব্ৰহ্মতেজঃ-সন্দীপ্ত আর্ধ্যজাতির বর্তমান অধঃপতন দেখিয়া, পৃথিবীর দিগিগন্তবাসী নিজ নিজ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাঙভ:স্পুঞ্জ লইয়া, ভারতের পবিত্র সিংহাসন অধিকার করিতে আসিয়াছে। ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণের তিরোভাবে যেমন .গোপবধুগণ পাষাণী হইয়া গিয়াছিলেন, স্থশোভন দ্বারক পুরী সমুদ্র-গর্ভে লুৱায়িত হইয়াছে, মহাতেজ মহাপুরুষ