পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার । . لانه উপায় নাই। এ নামটী দ্বারা ভারতের জাতীয় গৌরবরক্ষ হইল বটে, কিন্তু ইহা যে আধুনিক পণ্ডিত-সমাজকল্পিত, তাহ অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবে । শাস্ত্র-কর্তৃগণের উক্ত কেবল “ধৰ্ম্ম” নামটী যেমন উদার ও প্রশস্ত, মনুষোর প্রকৃতিসিদ্ধ ও আদিম ভাবের পরিচায়ক, “আৰ্য্য ধৰ্ম্ম’ শব্দটী তদ্রুপ নহে। তথাচ হয়তো আমরা আমাদের "ধৰ্ম্মকে" উপধৰ্ম্ম ও অপধৰ্ম্ম হইতে স্বতন্ত্র রাখিবার জন্য মধ্যে মধ্যে “আৰ্য্য ধৰ্ম্ম" বলিয়। উল্লেখ করিতে বাধ্য হইব । যে দিন হইতে ভারতবর্য আর্য্যজাতির অধিকার-চু্যত হইয়। পরাধীনতা-শৃঙ্গলে আবদ্ধ হইয়াছে, সেই দিন হইতেই সৌভাগ্য-লক্ষী ভারতের প্রতি বাম হইয়াছেন। পদে পদে বিপত্তি, দুরবস্থ। ও হীনতা ইহার চিরগৌরব-বিনাশ করিতেছে। ভারতবর্ষীয় আর্য্যজাতির প্রবল পরাক্রম, দিগ্নিজয় নিনাদ, শিল্প নৈপুণ্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান-শাস্ত্রালোচনা প্রভৃতি পৃথিবীস্থ যে সকল জাতিকে প্রথমতঃ বিস্ময়াপন্ন করিয়া রাখিয়াছিল, আর্য্যজাতির প্রচও প্রতাপ-কালে যে সকল জাতি অরণ্যবাসী অসভ্য ছিল, আজ সেই সকল জাতি দর্পসহকারে ভারতের প্রতি কুট কটাক্ষপাত করিতেছে, সেই সকল জাতি ভারতকে জ্ঞানীলোক-বিহীন ও অজ্ঞান-তমসাচ্ছন্ন বলিয়। স্বণ ও তাচ্ছিল্য করিতেছে। ভারত ও অধোমুখে তাহ সহ্য করিয়। দুর্ভাগ্য দুঃখ-ব্যথিতান্তঃকরণে নিজ ধৰ্ম্মবীরগণের সহিষ্ণুতা-গুণে মহত্ত্বের পরিচয় দিতেছে। বস্তুতঃ, ভারতের সে দিন নাই, সে অবস্থা নাই, সে ভাব নাই, সে তেজোবাৰ্মা, সে শৌর্য্য গান্তীৰ্ঘ্য নাই, ভারতে আর গৌরব