পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o পরিব্রাজকের বক্তৃত। দুত্তরে অধিক কথা বলিতে সাহস হয় না, তবে এই মাত্র বলিয়াই ক্ষান্ত হইব যে, এক্ষণে আর ধৰ্ম্ম-“মতের” পোষকতা করিবার বিশেষ প্রয়োজন নাই, তাহ ইতিপূৰ্ব্বে অনেক মহাত্মা করিয়া গিয়াছেন। আপাততঃ আমাদের সমাজে যে ধৰ্ম্ম-“ভাবের” বহুল পরিমাণে নূ্যনত হইয়াছে তাহারই উত্তেজনা করা আবশ্যক । ধৰ্ম্ম-“ভাবের’ উদ্দীপনা বা সাধুজীবন সংগঠিত হইলে, যিনি যে মতাবলম্বীই হউন, তিনি তাহাতেই ভগবৎপ্রেমের অধিকারী হইয়। আনন্দ ভোগ করিবেন। যেমন শীতকালে সমস্ত বৃক্ষের পত্র তক্ষ হইয়া পতিত হইয়া যায়, আবার বসন্ত বায়ু-প্রবাহে প্রত্যেক পল্লবে নবীন পত্রের উদগম হয়, কিন্তু বসন্ত বায়ু বহিল বলিয়া যে, সকল বৃক্ষের একরূপ পত্র হইবে, তাহ। কখনই আশা করা যায় না ; যে তরুর যে প্রকৃতি ও যে তরু যে জাতি, তদনুসারে সেইরূপ পত্র হইবে । যাহারা ধৰ্ম্ম-প্রচারক হইবেন, তাহারা, বসন্ত বায়ুর ন্যায়, ভারতে বিচরণ করিয়। সকল সম্প্রদায়ের হৃদয়েই মনুষ্যের প্রকৃতিগত ধৰ্ম্মভাবের উদ্দীপনা করিতে চেষ্টা ও যত্ব করিবেন। উন্মাদগ্ৰস্ত ব্যক্তি যেমন আপনি ভিন্ন জগতের সকলকেই উন্মত্ত বলিয়া মনে মনে হাস্য করে, আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, বুদ্ধি-বিদ্যার পারিপাট্য ও নানারূপ অনুশীলন সত্ত্বেও ধৰ্ম্ম-জগতের প্রত্যেক সম্প্রদায়ই সেইরূপ নিজ সম্প্রদায়টী ভিন্ন আর সমস্ত সম্প্রদায়কেই সঙ্কীর্ণচিত্ত ও সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্মরূপ ভ্রাস্তির সেবক বলিয়া অবজ্ঞা, উপেক্ষা, ও উপহাস করিয়া থাকেন। সুতরাং ধৰ্ম্ম-প্রচারের নাম গ্রহণ করিলে ,