পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার । bس S( কাদিতে কঁাদিতে হাত দিয়া “খুশীরামের" খু মুছিয়া বালকবর্গকে লক্ষ্য করিয়া বলিয়া উঠিল, “মুচে ফ্যা—লো”, ইহা শুনিয়া সকল বালক হস্ত দ্বারা তাল পত্রের লেখা “খুশীরামের" খু মুছিয়া ফেলিল । সভ্য মহোদয়গণ যাহারা সনাতন বিশ্বাস ভুলিয়া নিজের খুশীমত “খুশীরাম” লিখিতে বসিতেছেন, বুদ্ধির পরিপাকের উন্নত অবস্থায় সৎসঙ্গ-জন্য সদ্বিবেকের তাড়নায় তাহাদিগকেই আবার পূর্ব কথা সুব মুছিয়া ফেলিতে হইবে, এবং সনাতন বিশ্বাসের অনুবর্তী হইয়া কার্য্যে প্রবৃত্ত হইতে হইবে। সদাচার-সম্পন্ন তত্ত্বজ্ঞ ঋষিগণের আদর্শেই ধৰ্ম্ম-প্রচারক প্রস্তুত হওয়া চাই । শাস্ত্রকার মাত্রেই যুক্তি-প্রদর্শন দ্বারা, উপাখ্যান দ্বারা, পারলৌকিক সুখলাভের লোভ-প্রদর্শন দ্বারা, সত্যনিষ্ঠা সম্বন্ধে কত স্থানে কত কথ। যে বলিয়া গিয়াছেন, তাহা গণনা করা যায় না। রাজা যুধিষ্ঠির কখন জনসাধারণের নিকট সূত্যনিষ্ঠার বক্তৃতাও করেন নাই, অথবা কোন গ্রন্থও রচনা করেন নাই, কিন্তু তাহার জীবন-চরিত “সত্যনিষ্ঠ।” বিশেষ করিয়া প্রচার করিয়াছে। ধ্রুবের সরল ভগবদ্ভক্তিরস-পূর্ণ জীবন-চরিত যেমন লোক সকলকে ভক্তিমার্গে প্রবৃত্ত করিতে পারে, তদ্রুপ ভক্তির বক্তৃত বা ভক্তি-শাস্ত্র বা যুক্তি কিছুই করিতে পারে না । দনুজকুলপাবন প্ৰহলাদের জীবনী যে ভগবদ্বিশ্বাসের পরাকাষ্ঠা সাধারণ্যে প্রচার করিয়াছে ও এখন ও করিতেছে, তদ্রুপ ভাবপূর্ণ অন্যান্য বিশ্বাস-বিষয়ক -ঠানোপদেশ কার্যকর নহে। এক জন সাধুর “জীবন" শত