পাতা:পলাতকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পলাতকা

তা হলে হয় ভালাে।
মনে হল, শত্রু আমার আকাশ-ভরা আলাে,
দেব্‌তা আমার শত্রু, আমার শত্রু বসুন্ধরা,
মাটির ডালি আমার অসীম লজ্জা দিয়ে ভরা!
তাই তাে বলি বিশ্বজোড়া সে লাঞ্ছনা
তেমন করে পায় না যেন কোনাে জনা,
বিধির কাছে এই করি প্রার্থনা।’

ব্যাপারটা কী ঘটেছিল অল্প লােকেই জানে,
ব’লে রাখি সে কথা এইখানে।

বারাে বছর পরে
অপূর্ব রায় দেখা দিল কানাইদাদার ঘরে।
একে একে তিনটে থিয়েটার
ভাঙাগড়া শেষ করে সে হল ক্যাশিয়ার
সদাগরের আপিসেতে। সেখানে আজ শেষে
তবিল-ভাঙার জাল হিসাবের দায়ে ঠেকেছে সে।
হাতে বেড়ি পড়ল বুঝি, তাই সে এল ছুটে
উকিল দাদার ঘরে, সেথায় পড়ল মাথা কুটে।
কানাই বললে, ‘মনে কি নেই?’ অপূর্ব কয় নতমুখে,—
‘অনেক দিন সে গেছে চুকেবুকে।’
‘চুকে গেছে!’ কানাই উঠল বিষম রাগে জ্ব’লে, জ্ব’লে,—

৩৬