পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २ ] বৃত্তান্তনিচয়েরও উল্লেখ নাই। কিন্তু তথাচ ইহাতে যাহা আছে, তাহা পাঠ করিবার সময় হৃদয় অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দে উছলিয়া উঠে এবং कन्ननां अनरु नभूष्म उॉनभांन झग्न । . পলাশির যুদ্ধ বলিলে বালকের মার্শম্যান সাহেবের ইতিহাস-পুস্তক স্মরণ করে, এবং বৃদ্ধের বিলাতের কোন প্রসঙ্গ মনে করিয়া বীতস্পৃহ হন। কিন্তু র্যাহাদিগের চক্ষু দৃষ্টিশক্তি লাভ করিয়াছে, এবং বুদ্ধি চিন্ত সহযোগে আমাদিগের কবির কল্পনার সঙ্গে উড়ীন হইতে পরিবে, র্তাহাদিগের নিকট বঙ্গীয় কবির বীণার জন্য ইহা অপেক্ষা উচ্চতর বিষয় সম্ভবে না। পলাশির যুদ্ধ বর্তমান ভারত-ইতিবৃত্তের প্রথম পৃষ্ঠা ; পলাশির যুদ্ধ ভারতের নিয়তি-নেমির শেষ আবৰ্ত্ত। ভাগীরথী ও কালিন্দীর দ্যায় দুইটি পুরাণগ্রসিদ্ধ স্রোতস্বতী দুই দিক হইতে প্রবাহিত হইয়। যেখানে আসিয়া প্রণয়-ভরে পরস্পরকে আলিঙ্গন করে, অনেকে ভক্তিরসার্ডচিন্তে সেই স্থানকে তীর্থস্থান বলিয়া পুজা করেন। আবার, সমুদ্রের পর্বোচ্ছ্বাস-প্রবাহ সকল যে স্থলে আসিয়া ভৈরবরবে পরস্পরপ্ৰহত হয়, এবং ভয়াবহ তরঙ্গমালা স্বজন করিয়া তটভূমি প্রকম্পিত করে, অনেকে প্রকৃতির মহিমায় মুগ্ধ হইয়া তাদৃশ স্থানকে বৈজ্ঞানিকের দৃপ্তস্থান বলিয়া আদর করেন। এই গণনায়, পলাশির ক্ষেত্র মহাতীর্থ ও মহাপ্ত। এখানে পূৰ্ব্ব ও পশ্চিম পরম্পর সম্মিলিত হয় ; এখানে প্রাচীন সভ্যতা ও আধুনিক উন্নতি এই দুই প্রতিকূল স্রোত পরম্পর পরস্পরকে আঘাত ও প্রতিঘাত করে ; এখানে বংশপরম্পরায় সহস্ৰ কোটি লোকের ললাট-লেখার পরীক্ষা হইয়া যায়; এথানে ছুই মহাদেশের দুইটি ইতিহাস, কালের এক কুক্ষিতে যুগপৎ নিমজ্জিত হইয়া,