পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f = } অথবা ঘোরান্ধ-রজনীতে অকস্মাৎ মেঘ-গর্জন শ্রবণ করিলে কিংবা অকস্মাৎ দামিনীর ক্ষণস্থায়ি চমক দেখিলে, তাহ যেমন শ্রতি কি ক্টর বিভ্রম বলিয়া বিশ্বাস জন্মে, সেইরূপ যাগ কিছু শুনিয়াছি এবং যাহা কিছু দেখিয়াছি সমস্তই যেন মনের ভ্রান্তি, এইরূপ বিশ্বাস করিতে ইচ্ছা করে।” কিন্তু দ্বিতীয় সর্গে প্রবেশ করিলেই সেই প্রীতিকর ভ্রম ও প্রিয় বিশ্বাস তিরোহিত হইয়া যায় ; এবং যাহা দেখি নাই তাহ দেখিয়া এবং যাহা শুনি নাই তাহা শুনিয়া, মন दिशबई পর ভয়ে এবং ভয়ের পর বিস্ময়ে বিস্ফারিত ও সঙ্কুচিত হয় । কোথায় ইংলণ্ড, আর কোথায় বঙ্গভূমি ! কিন্তু এখন কি শুনি, আর কি দেখি ! না— “ব্রিটিশের রণবাদ্য বাজে কম্ বাম হইতেছে পদাতিক-পদ-সঞ্চলন তালে তালে, বাজে অস্ত্র ঝন ঝনন, হৃেষিছে তুরঙ্গ রঙ্গে, গর্জিছে বারণ । থেকে থেকে বীর-কণ্ঠ সৈনিকের স্বরে ঘুরিছে ফুিরিচে সৈন্ত, ভূজঙ্গ মেতি সাপুড়িয়া-মন্ত্র-বলে ; কন্তু অস্ত্র করে ; কন্তু স্বন্ধে ; ধীরপদ ; কতৃ দ্রুতগতি। ভূমের কবর রব, বিপুল ঝঙ্কার, বিজ্ঞাপিছে ব্রিটিশের বীর অহঙ্কার ।” এই সর্গে সমরোম্মুখ-সৈনিকদিগের মনের ভাব আঁকিতে যাইয়া কবি মধ্যস্থলে আশার যে একটি ‘বন্দনা করিয়াছেন, তাহা বহুকাল স্মরণ থাকিবে । এই বন্দনাটিকে স্কটলণ্ড দেশীয় প্রসিদ্ধ কবি ক্যাম্বেলের