পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ \ ] এবং অসাবধান বলিয়াও কেন অকৃত্রিম কবি বলি, ইহা হইতেই তাহা ংক্ষেপে বুঝাইয়া দিতে পারিব। ( তৃতীয় সর্গ ১ হইতে ২ শ্লোক )— উল্লিখিত প্রথম কবিতাটির প্রথমাৰ্দ্ধ পড়িবার সময় মনে সৰ্ব্বাগ্রে ইহাই ধারণা হয় যে, কবি একজন অতীব সহৃদয় এবং অতি প্রগাঢ় চিন্তাশীল ব্যক্তি, তিনি কল্পনা যোগে সেই ভারত-বিশ্রুত পলাশিপ্রাঙ্গণে উপস্থিত হইয়াছেন, এবং উপস্থিত হইয়াই চিন্তাবেশে অবসন্ন হইয়া পড়িয়াছেন। তাছার মন আর তাছাতে নাই । হৃদয়ে গভীর শোকসিন্ধু উথলিয়া উঠিয়াছে এবং শোকবশে নয়নযুগল হইতে দরদর ধারে নিঃশব্দ আশ্রধারা নিপতিত হইতেছে। ইহার পরই জিজ্ঞাসা, এ শোক কি ?—না, মোগলের দুঃখে দুঃখ, শত্রুর জন্ত সহানুভূতি, উৎপীড়কের জন্ত উৎপীড়িতের সকরুণ খেদ, অথবা কারণ বিনা কাৰ্য্য। ভাল, শোকের স্রোতই প্রবাহিত হউক ; অকস্মাৎ আবার ক্রোধের স্মৃত্ত্বি কোথা হইতে ? যদি মোগলের দুঃখেই দ্রবীভূত হইয়া থাক, তবে আবার তাহীকে ‘পাপাত্মা' ও 'যবন বলিয়া তিরস্কার কর কেন ? আর বাঙ্গালীদিগেরই বা সেই পাপাত্ম যবনের নিপাত-গীতে বিশেষ দুঃখ কি ? পাঠকের চিন্ত এইরূপ বিবিধ প্রশ্নে বিলোড়িত ইতেছে এবং কবিকল্পনার অন্তরতম প্রদেশে প্রবিষ্ট হইয়া মীমাংসার অসুসন্ধান করিতেছে, ইহার মধ্যেই সহসা এক নূতন কথা । কোথায় কোটিকর লোকের অদৃষ্টের ফলাফল-গণনা, আর কোথায় রূপসীবৃন্দের রূপের তরঙ্গ ! কিন্তু কৰি যেই ভারতের ভাগ্যস্বত্র করে ধারণ করিয়া নবাব সিরাজদৌলার শিবিরন্থ বিলাস-গৃহে ধীরে ধীরে প্রবেশ করিলেন, অমনি সকল কথা