পাতা:পলাশির যুদ্ধ.djvu/১৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারণ্যের উদ্বোধন করিতে কৃতকার্য্য হুইয়াছেন, র্তাহাকে মহাকবি বলির কি না, এই প্রশ্ন দুইবার উত্থাপন করা অনাবশ্বক। পলাশিযুদ্ধের চতুর্গ নগ বঙ্গবাণী মাত্রেরই অভিননের ব্যয়। বাঙ্গালায় এার্ম সামগ্রী অল্প আছে । ইহার যে অংশ পাঠ করিবে, সেই অংশেই মোহিত ও পুলকিত হইবে ; এবং যতবার পড়িবে তত ধারই নৃপ্তম আনন্দ হানুভব করিবে। কি রস, পি রচনা, সৰ্ব্বাংশেই ইষ্ঠী যারপর নাই মাদক ও মনোহর। যদি স্থান থাকিত তবে আমরা ইহার আদোপান্ত উদ্ধৃত কলিতাম। কিন্তু যদিও তাঁহা সম্ভব নয়, আমরা তথাপি এপাল পান তইন্তে কয়েকটি কবিতা কোন ক্রমেই ন তুলিয়া পারিলাম না । (চতুর্থ সর্গ ১১০ পৃষ্ঠ হইতে ১২ পৃষ্ঠ পর্যন্ত স্থানে স্থানে)— যখন ভগ্নাকুলিত নবাব সৈন্যগণ রণে ভঙ্গ দিয়া ইতস্ততঃ প্রধাবিত হইতে লাগিল, তখন-— (চতুর্থ সর্গ ১১ ইষ্টতে ১১৭ পৃষ্ঠা ২১৮ হইতে ১১৯ পৃষ্ঠা, ১১২ পৃষ্ঠা )— to ইঙ্গার পর পুনরায় যুদ্ধ, যুদ্ধে মিরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রতারণ, এবং বম্বেশ্বরের পরাজয় ও পলায়ন। কবি তৎকালে কল্পনানেত্রে অন্ত-গমনোমুখ ভাস্করের প্রতি চাহিয়া যে কয়েকটি কবিতা সম্বোধন করিয়াছেন, ভারতবাসীর অশ্রজল ভিন্ন তাহার আর প্রতিদান সম্ভবে না। প্রিয়-বিয়োগ-বিধুর কামিনী কণ্ঠের বিলাপ শুনিয়াছি, এবং ত্রিতন্ত্রীর কাদো কাদো মৃৎনিনাদ শুনিয়াছি; কিন্তু কিছুতেই প্রাণ এমন আলোড়িত হয় নাই। যদি এই বাক্য কয়টি কবির মুখ